আইয়ামে জাহেলিয়ার পরিচয়ঃ আইয়ামে জাহেলিয়া দুটি একক শব্দের সমন্বয়ে একটি যেূৗগিক শব্দ। একক শব্দ দুটি হলো ১.আইয়াম ও ২ .জাহেলিয়া। আইয়াম শব্দটি ইয়াওমুন শব্দের বহুবচন । অর্থ হলো -দিন তথা রাতের বিপরিত অর্থে ব্যবহার হয় ।তবে ইয়াওমুন শব্দের ব্যবহার সময়,কাল ,যুগ ইত্যাদি অর্থেও হয়ে থাকে ।যেমন আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজীদে ঘোষণা করেন – অর্থাৎ আমি মানুষের মাঝে পরস্পর উন্নতি ও অবনতির যুগ পরিবর্তন করে থাকি । আইয়াম দিয়ে যুগ বোঝানো হয়েছে।আর জাহেলিয়া শব্দটি আরবি জাহলুন শব্দ থেকে উৎকলিত । অর্থ হলো-বর্বরতা ,অঙ্গতা,কুসংস্কার ,তমসা বা অন্ধকার যুগ । 🕳জাহেলিয়া যুগে আরবের অবস্থা : জাহেলিয়া যুগে আরবের অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয় ।তারা মানবেতর জীবনযাপন করতো ।আরবরা ছিল স্বাধীনচেতা । তাই তারা শাসনের কোনো পরোয়া করতো না । তারা অসংখ্য গো েএ বিভক্ত ছিল। গো েএ গো েএ শএুতা ছিল তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য ।তুচ্ছ কারনে গো েএ গো েএ কলহ বেধে যেত এবং তা যুগ যুগ ধরে চলতে থাকতো ।খুনের বদলা নেয়ার জন্য তারা যুদ্ধ করতো । ইসলাম পূর্ব যুগে আরবে প্রায় ১৭০০ যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
🕳সামাজিক অবস্থা:
ইসলামের আবির্ভাবের পূর্ব আরবের সামাজিক অবস্থা ছিল শোচনীয় ।বিভিন্ন পাপাচার ,ব্যভিচার,কুসংস্কার,অনাচার ,অরাজকতা ,ঘৃণ্য আচার অনুষ্ঠান ও নিন্দনীয় কর্মকান্ডে কলুষিত হয়ে পড়েছিল সমাজ ।
🕳নারীর অবস্থান: ঐতিহাসিকদের প্রসিদ্ধ মতানুযায়ি সে যুগে আরব ,রোমান ও পারস্য সাম্রাজ্যসহ সমগ্র বিশ্বে সমভাবে নারীর অবস্থা ছিল সীমাহীন অবমাননাকর ও হ্দয়বিদারক ।তারা ভোগের সামগ্রি ও অস্থাবর সম্পওি হিসেবে পরিগণিত হতো।সমাজে তাদের কোনো রকম মান মর্যাদা বা অধিকার ছিল না । একজন পুরুষ যত খুশি বিয়ে করতো এবং যত খুশি তালাক দিতে পারতো। তৎকালিন আরবে চার ধরনের বিবাহ ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। 🕳রাজনৈতিক অবস্থাঃ প্রাক ইসলাম যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থাও ছিল চরম অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলায় ভরপুর ।না ছিল কেন্দ্রিয় শাসনব্যবস্থা,না ছিল কোনো সংবিধান। মনগড়া মতবাদের ছায়ায় আদিম যুগের বৈশিষ্ট্য পরিপূর্ন গো িএয় শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছিল। ধর্মীয় অবস্থা: জাহেলি যুগে আরবদের ধর্মীয় জীবন ঘোর তমসাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল । ধর্মীয় পাপাচার আর সামাজিক অনাচারের মিশ্রনে আরবে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। একত্ববাদের স্থলে বহু ঈশ্বরবাদ আরব সমাজকে চরম অধঃপতনের দিকে ঠেলে দেয়। এ সময় আরবে মোটামোটি চার ধরনের ধর্মীয় বিশ্বাসসম্পন্ন লোকের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়।ইহুদি,খিষ্টান,মূর্তীপূজক ও হানিফ সম্প্রদায়।