ঈমান এর শাব্দিক অর্থ বিশ্বাস স্থাপন করা ,সত্যায়ন করা ইত্যাদি । এর শারঈ অর্থ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে । হানাফিদের মতে নবী(সাঃ) দ্বীনের অত্যাবশ্যকীয় বিস্তারিত এবং সংক্ষিপ্ত যে বিধানাবলি নিয়ে এসেছেন সেগুলোর ক্ষে েএ কোন দলিল না থাকলেও চুড়ান্তভাবে তাকে সত্যায়ন করা ।
ঈমানটি তাদের নিকট যৌগিক কোন বিষয় নয় বরং এটি বাসিত্ব ।যা পরিমানের দৃষ্টিকোণ থেকে কম -বেশি গ্রহণ করে না । (অর্থাৎ ঈমান কোন সৎকাজের মাধ্যমে বৃদ্ধি পায় না এবং পাপ কাজের মাধ্যমে হ্রাস পায় না)মুরজিয়াহ সম্প্রদাযের মতে ঈমান হলো শুধুমাএ বিশ্বাস স্থাপন করা ।জিহ্বার স্বিকৃতি ঈমানের ঈমানের কোন রুকনও না শর্তও না ।
ফলে হানাফিদের মতো তারাও ‘আমালকে ‘’ ঈমানের প্রকৃত অর্থের বর্হিভুত গণ্য করেছে এবং ঈমানের আংশিকতাকে অস্বিকার করেছে ।
তবে হানাফিরা এর আমলের এর (আমলের ) উপর গুরুত্বারোপ এর প্রতি উদ্ভুব্দ এবং ঈমান বৃদ্ধির ক্ষে েএ এটিকে একটি কারন হিসেবে গণ্য করলেও মুরজিয়ারা এটিকে সমুলে ধ্বংস করে বলেছে আমালের কোন প্রয়োজন নেই ।
শুধুমাএ বিশ্বাস স্থাপন করলেই পরিএান মিলবে তাতে যে যত অপরাধই করুক না কেন । কারমিয়্যাহ সম্প্রদায়ের মতে ঈমান হলো শুধুমাএ উচ্চারন করা । ফলে তাদের নিকট নাজাতের জন্য মৌখিক স্বীকৃতিই যথেষ্ট চাই সত্যায়ন পাওয়া যাক বা না যাক ।
ইমাম মালিক ,শাফিঈ,আহমাদসহ জমহুর ‘উলামাগণের মতে ঃ ঈমান হলো অন্তরে বিশ্বাস স্থাপন করা ,জিহবায় উচ্চারন করা। এবং রুকনসমুহের প্রতি আমাল করা । তাদের নিকট ঈমান একটি যৌগিক বিষয় যা কমে এবং বৃদ্ধি পায় ।
এ বিষয়ে কুরআন সুন্নাহর অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে । এটিই হলো সর্বাধিক সঠিক অভিমত ।মুতাযিলাহ এবং খারিজিগণের নিকট ঈমানের সংঙ্গা জমহুরের মতোই তবে উভয়ের মাঝেই পার্থ্যক্য হলো ঈমানের সকল অংশকে জমহুর সমান হিসেবে গণ্য করেননি । ফলে তাদের নিকট আমালসমুহ যেমন সলাতের ওয়াজিব বিষয়গুলোকে তার রুকনের মতো নয় ।
অতএব আমাল না থাকলে কোন ব্যক্তি ঈমানের গন্ডি থেকে বের না হয়ে তার মধ্যেই থাকবে এবং আমাল পরিত্যাগকারি অনুরুপ কবিরাহ (কবিরাহ) গুনাহে জড়িত ব্যক্তি ফাসিক -মুমিন থাকবে সে কাফির হয়ে যাবে না ।
পক্ষান্তরে কারো মাঝে যদি শুধু তাসদিক না পাওয়া যায় তাহলে সে মুনাফিক আর ইক্করার বা স্বীকৃতি না পাওয়া গেলে কাফির ।
কিন্তু যদি শুদুমাএ আমালগত এুটি থাকে তাহলে সে ফাসিক যে জাহান্নামে চিরদিন অবস্থান করা থেকে পরিএান পেয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে । আর খারিজি এবং মুতাজিলারা যৌগিক ঈমানের সকল অংশকে সমান হিসেবে গণ্য করে এভাবে যে ,ঈমানের কিছু অংশ বাদ পড়লে সমস্তটাই বাদ বলে পরিগণিত হবে ।
আর আমলটি তাদের নিকট ঈমানের একটি রুকন যেমনটি সলাতের বিভিন্ন রুকুন রয়েছে ।
তাই আমাল পরিত্যাগকারি তাদের নিকট ঈমান বহির্ভুত লোক।খারিজিদের মতে কবিরাহ গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তি অনুরুপ আমাল পরিত্যাগকারি ব্যক্তি কাফির যে জাহান্নামে চিরকাল অবস্থান করবে । আর মুতাজিলাদের মতে সে মুমিনও নয় ,কাফিরও নয় বরং তাকে ফাসিক বলা হবে যে চিরস্থায়ি জাহান্নামী
ঈমান সম্পর্ক সব চাইতে বড় বন্ধন । এর কঠিন শক্তির কারনে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টির মাঝে এক গভির সম্পর্ক তৈরী হয় । অনুরুপ আসমান -জমিনের মধ্যে উম্মত ও মহান রসুলুল্লাহ (স) এর মাঝে ,জমিনে বনি আদমের ভিতরে ,বনি আদম ও ফেরেশতাদের মাঝে ,জিন -ইনসানের মাঝে এবং দুনিয়া ও আখেরাতে মধ্যে ঈমানী শক্তি বন্ধন সৃষ্টি করেছে । এই ঈমানি সম্পর্কের জন্যই আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন নভোমন্ডল এবং ভুমন্ডল এবং বেহেশত ও দোযখ । আর এ কারনই আল্লাহর তায়ালা মুমিনদের বন্ধ ও প্রেরণ করেছেন নবী-রসুলগণ এবং নাজিল করেছেন আসমানি কিতাবসমুহ ও আল্লাহর রাহে জিহাদকে বিধিবিধান করছেন ।
যারা ঈমান এনেছে ,আল্লাহ তাদের অভিভাবক । তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে । আর যারা কুফরি করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত ।তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো জাহান্নামের অধিবাসি ,চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে ।