ঈমান কাকে বলে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ?

আধুনিক বিশ্বে উন্নতির পথ হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং ঈমানের ডিস্পেসারী । এ দুটি গ্রন্থে আমি পেয়ে দুশ্চিন্তা দুর্ভাবনা থেকে মুক্তির  উপায় হচ্ছে আল্লাহর প্রতি ঈমান । সেজন্য সকল কাজকে আল্লাহর দিকে নিবেদিত করাই উওম।

এবং আমি আমার ব্যাপার আল্লাহর কাছে সমর্পণ করছি। (সূরা মুমিন)                                      আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোনো বিপদই আসে না,আর যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে আল্লাহ তার অন্তরকে  সঠিক পথে পরিচালিত করেন । (সুরা তাগাবুন)  যে ব্যক্তি বুঝে যে ,দূর্যগ ভাগ্যের পূর্ব নির্ধারণী বা তাকদীর অনুসারেই  আসে  আর আল্লাহ তার অন্তরকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন ।  তিনি তাদের বোঝামুক্ত করেন এবং সে শৃঙ্খলমুক্ত করেন যা তাদের উপর ছিল ।(সুরা আরাফ) কার্সী মরিসন ,এলেক্সিস কারইল ও ডেল কার্নগির মতো কিছু পশ্চিমা লেখকও  নিঃসংকোচে  স্বীকার করেন ,বস্তবাদি মানসীকতাসম্পন্ন পতনশীল পাশ্চাত্যের রক্ষার একমাএ উপায় হলো সৃষ্টিকর্ার প্রতি  ঈমান (বিশ্বাস)                                                                                                                                তারা এ মতের ব্যাখায় বলেন ,পাশ্চাত্যের সদা বর্ধনশীল  ভয়ংকর আত্মহত্যার ঘটনার পেছনে যে কারন রয়েছে তা হলো নাস্তিকতা ও সবকিছুর প্রতিপালক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের অভাব। যারা আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামি হয় তাদের জন্য রয়েছে ভীষণ শাস্তি ,                                       কেননা তারা  বিচারদিবসকে ভুলে গেছে ।(সূরা সোয়াদ)                                                              আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরিক সাব্যস্ত করে সে যেন আকাশ থেকে পড়ে গেল । পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে বা বাতাস তাকে দূরে কোথাও  উড়িয়ে নিয়ে যাবে । ‘’ (সূরা হজ্জ)                    কুজমান উহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের পক্ষে ভিষণ যুদ্ধ করছিল ।মুষলমানরা তার পক্ষে চিৎকার করে বলল,তার জন্য রয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ। কিন্ত নবী (স) বললেন  নিশ্চয় সে জাহান্নামী’’। কেননা  যুদ্ধ অবস্থায পাওয়া একটি আঘাত যকন সাংঘাতিক আকার ধারণ করল তখন সে ধৈর্য্য ধরতে না পেরে নিজের তরবারি দিয়ে আত্মহত্যা করে । (নবীজির কথায় স্পষ্ট হলো যে ,আত্মহত্যাকারি জাহান্নামী)।

‘‘এ দুনিয়ার যিন্দিগিতে তাদের প্রচেষ্টা বিনষ্ট হয়ে যাওয়া সত্বেও তারা মনে করে ,তারা ভালো কাজ করেছে ।’’(সূরা কাহাফ)

হযরত আবু সাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত ,নবী করিম (সাঃ) বলেছেন  ঈমানদার ব্যক্তি ও ঈমানের দৃষ্টান্ত হচ্ছে খুটির সাথে (রশি দিয়ে বাধা) ঘোড়া ,যা চতুর্দিকে ঘুরতে থাকে  এবং শেষ পর্যন্ত খুটির দিকেই ফিরে আসে । অতএব তোমরা মুওাকি লোকদেরকে তোমাদের খাদ্য খাওয়াও এবং ঈমানদার লোকদের সাথে ভাল ব্যবহার কর। (বায়হাকি)                                                                           হযরত আনাস (রা) নবী করিম (সাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন ,তোমাদের মধ্যে কেহই ঈমানদার হতে পারবে না ,যতক্ষন না তার কামনা বাসনাকে আমার উপস্থাপিত দ্বিনের অধিন করতে না পারবে। (শরহুস সুন্নাহ)

“যে ব্যক্তি আমার জিকির থেকে  মুখ ফিরিয়ে নিল তার জন্য রয়েছে সংকটময় জীবন  এবং কিয়ামতের দিন আমি তাকে অন্ধ অবস্থায় হাশরের মাঠে উঠাব।’’ (সূরা ত্বহা) সঙ্কট বা কষ্ট যতই  সাংঘাতিক হোক না কেন একজন প্রকৃত মুসলমান কিছুতেই আত্মহত্যার  পথ বেছে নেয় না ।অযু করে বিনয় নম্রতা  এবং নরম দিলের সাথে দু’ রাকাত(সালাতুল হাজত) সালাত আদায় করলে আপনার থেকে দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নতা দূর হওয়ার গ্যারান্টি আছে। অতএব তারা যা বলে সে বিষয়ের আপনি ধৈর্য্যধারণ করুন এবং সূর্যোদয়ের পূর্বে(ফজর)সূর্যাস্তের পূর্বে (আছর ) রাতের বেলায় (মাগরিব ও এশা) ও দিবসের প্রান্তে(সূর্য হেলার পর জোহর) (নামাজের মাধ্যমে) তোমার প্রভুর  প্রশংসা পবিএতা ও মহিমা ঘোষণা করো ।যাতে করে আপনি (এ কাজের ফলে তোমার প্রভুর পক্ষ থেকে পুরুষ্কার পেয়ে) সন্তুষ্ট হতে পার।’’ (সূরা ত্বহাঃআয়াত-১৩০)                                                                               পথভ্রষ্টদের প্রতি কোরআনে  এক অকাট্য ও শক্তিশালি প্রশ্ন রয়েছে ।                                         ‘‘তাদের কী হলো যে তারা ঈমান আনে না ? ( সূরা ইনশিকাকঃআয়াত -২০)                                        দলিল -প্রমাণ যখন ষ্পষ্ট তখন কিসে তাদের ঈমান আনা থেকে বিরত রাখে ?                                      “আমি তাদের আমার নিদর্শনগুলো দিগন্তে দিগন্তে(অর্থাৎ গোটা বিশ্ব জগতে) দেখাব এবং তাদের নিজেদের মাঝেও দেখাব  যাতে তাদের কাছে একথা স্পস্ট হয়ে যায় যে এ কোরআন সত্য। (সূরা হা-মীম -আস সাজদাহঃআয়াত-৫৩)  আর যে সৎকর্মপরায়ণ (অবস্থায়) আল্লাহর কাছে  আত্মসমর্পণ করবে সে তো দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে এক মজবুত হাতল ।” ’’ (সূরা লোকমান)

Leave a Comment