সূরা তওবার ৬০ নং আয়াতে বলা হয়েছে তাতে আট শ্রেণীর লোকের উল্লেখ আছেঃ
ফকীর ঃ
খুবই টানাটানির ভিতর দিয়ে যাদের জীবন অতিবাহিত হয় সে জন্য চাইতে লজ্জা করে না।
মিসকিনঃ
যাদের অবস্থা আরও খারাপ কিন্তু পরের নিকট হাত পাততে লজ্জা করে ।
যাকাত বিভাগের কর্মচারী ঃ
যাকাত আদায়ের জন্য নিযুক্ত কর্মচারীদের বেতন যাকাতের অর্থ থেকে দেয়া যাবে ।
মন জয় করা ঃ
ইসলামের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি অথবা ইসলামের বিরোধিতা বন্ধ করার জন্য মন রক্ষা করার খাতে যাকাতের টাকা যেদয়া যাবে ।
আল্লাহর পথে – অত্যন্ত ব্যপক শব্দ যা প্রতিটি নেক কাজেই যাকাতের টাকা ব্যয় করা যেতে পারে ।বিশেষভাবে এর অর্থ হচ্ছে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কাজে সাহায্য করা । আল্লাহর বিধান চালু করার সংগ্রামে অর্থ সাহায্য করাই এর আসল অর্থ ।
এখানে অন্যের সুখ সমৃদ্ধ ধ্বংস হয়ে যাক এরুপ কামনা করা অর্থে হিংসা ব্যবহ্ত হয় নাই । বরং অন্যের সুখ সমৃদ্ধ ধ্বংস কামনা না করে তার আমরও ভাগ্য সুপ্রসন্ন হোক -এখানে এ অর্থই হাদিসে বলা হয়েছে ।
উশর যাকাত রাষ্ট্রিয়ভাবে সংগ্রহ করতে হবে
ইসলামে সমস্ত কাজেই দলগত ও সামষ্টিগতভাবে সম্পন্ন করতে হয় ।ব্যক্তি স্বাতনএমূলক বিচ্ছিন্নতা ইসলাম সমর্থন করে না ।মসজিদ হতে দূরে অবস্থানরত কোন মুসলমান যদি একাকি নামায পড়ে তবে নামায হবে বটে-কিন্ত ইসলামি শরিয়তে জামায়াতের সাথে নামায পড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে । মুসলমান জামায়াতের সাথে নামায আদায় করুক ইহাই শরিয়তের কাম্য ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা রাসুলে করিম (সা) কে মুসলমানদের নিকট হতে মাল উসুল করতে আদেশ দিয়েছেন। তওবা-১০৩
মুসলমানদের কে স্বতন্ েও ব্যক্তিগতভাবে আদায় করতে বলা হয়নি । উপরন্ত যাকাত আদায়ের কর্মচারী খাত দিয়ে প্রমাণ করা হয়েছে যে যাকাত রাষ্ট্র প্রধানের পক্ষ হতে আদায় করা হবে ও সমষ্টিগতভাবে তা খরচ করবে ।
সকল কৃষিজাত দ্রব্য এবং গরু ,ছাগল ,মুরগি,মাছ পাখিব্যবসাজাতপ্র্রাণী ,সেইসাথে সংরক্ষিত সোনা ও নগদ টাকার উশর যাকাত বের করলে বছরে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা আয় হবে ।
বাংলাদেশে শুধু যাকাত উশর চালু হলে দারিদ্রতা ও বেকারত্ব দূর করার পরেও উন্নয়ন খাতের জন্য টাকা উদ্বৃও থাকবে । কোটি কোটি টাকা যাকাত -উশর থেকে দেশের অসহায় গরীব ফকির ,মিসকিন বঞ্চিত হচ্ছে ।ধনীকে আরো ধনী গরীবকে আরো গরিব বানানোর সুদি অর্থনীতির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাড়াতে হবে এবং যাকাতভিওিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে ।
(এক) মোট উৎপন্ন ফসলের উশর আদায় করতে হবে ।উশর আদায়ের পর অবশিষ্ট ফসল থেকে কৃষির যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে ।
(দুই)ফসল যখনই ব্যবহারযোগ্য হবে তখনই তার উপর উশর ওয়াজেব হবে । যেমন ছোলা ,মটর ,আম প্রভৃতি পাকার পূর্বেই ব্যবহার হতে থাকে । অতএব এখন যে পরিমাণ হবে তার উশর বের করতে হবে । উশর বের করার পূর্বে তা ব্যবহার করা দুরস্ত নয় ।
(তিন) বাগানে ফল পাকার পূর্বে বিক্রি করলে উশর খরিদ্দারের উপর ওয়াজিব হবে । পাকার পর বিক্রি করলে উশর বিক্রেতার ঘাড়ে পড়বে ।
(চার) জমিতে যে চাষ করবে উশর তার উপরেই ওয়াজিব হবে তা সে জমি ভাড়া নিয়ে চাষ করুক অথবা বর্গা নিয়ে চাষ করুক ।