আহনাফ ইবনে কায়েশ উক্তিতে যে ঘটনা ও ব্যক্তির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন তা হলো অনেকের মতে উষ্ট্রের যুদ্ধের ঘটনা এবং ব্যক্তিটি হলেন আলী (রা)
সময়কাল : ৬৫৬ সাল মোতাবেক ৩৬ হিজরি সালে আলী (র) এর খেলাফত আমলে উষ্ট্রের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নামকরণ ঃ উষ্ট্রের পৃষ্ঠে আরোহণ করে আয়েশা (রা) যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন বলে ইতিহাসে এ যুদ্ধ উষ্ট্রের যুদ্ধ নামে পরিচিত।
যুদ্ধের কারণঃ ওসমান (র) এর শাহাদাতের পর আলী (রা) খিলাফতের দায়িত্ব লাভ করেন । আলী (রা) আসামি চিন্হিত করণের প্রক্রিয়া সমাপ্ত না হওয়ায় ওসমান (রা) এর হত্যার বিচার কার্য শুরু হতে বিলম্ব হেতু আমিরে মুয়াবিয়া ও মা আয়েশা (রা) সহ একদল সাহাবি আলী (রা) এর উপর ক্রদ্ধ হন এবং তাদের নেতৃত্বে এক সশসএ আন্দোলন গড়ে ওঠে।অতঃপর আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আয়েশার নেতৃত্বে এক বিরাট বাহীনি মক্কা থেকে যাএা করে বসরায় উপনীত হয়। ইতোমধ্যে কতিপয় সন এাসি পরীকল্পিতভাবে উস্কানি দিলে উষ্ট্রের যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠে।
যুদ্ধের ঘটনা ঃ মা আয়েশা (রা) এর নেতৃত্বে ৬০০০ সৈন্যর এ বাহিনিটি বসরায় আগমন করার সংবাদ পেয়ে আলী (রা) রীতিমতো স্তম্ভীত হয়ে যান এবং আয়েশার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে যুদ্ধ এড়াবার জন্য আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। অতঃপর উভয় পক্ষ আলোচনায় বসেন এবং শান্তি আলোচনা চলতে থাকে ।শান্তি আলোচনার অগ্রগতি দেখে ওসমান (র) এর হত্যা ঘটনায় মুলনায়ক আবদুল্লাহ ইবনে সাবার পরিকল্পনানুযায়ি তার দলিয় আততায়ীর রাতের অন্ধকারে তালহা যুবায়ের ও আয়েশা (রা) এর বাহিনিকে আক্রমণ করে এবং তালহা ও যুবায়ের (রাঃ) কে হত্যা করে ।ফলে উম্মুল মুমিনিন আয়েশা ও চতুর্থ খলিফা আলী (রা) এর মাঝে এক রক্তক্ষয়ি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যেহেতু সে যুদ্ধ আয়েশা (রা) এর বাহণ উটের পা কর্তন করা হয়েছিল, সেহেতু সে যুদ্ধকে উষ্ট্রের যুদ্ধ বলা হয়। আলোচ্য হাদিসের বর্ণনাকারী আহনাফ ইবনে কায়েস (রা) আলী (রা) এর বাহিনীতে যোগদান করার জন্যে বের হয়েছিলেন । কিন্তু আবু বকর (রা) কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন ।
ফলাফলঃএ যুদ্ধে আলী (রা)) বিজয় লাভ করেন । ঐতিহাসিক ইবনে সাদ এর মতে এ যুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার মুসলমান প্রাণ হারান । তারিখে মিল্লাতে ১০ হাজারের কথা উুল্লেখ আছে। এ যুদ্ধে ইসলামের ঐক্য ও সংহতির গৌরবময় ইতিহাসের বিপুল ক্ষতি সাধিত হয়।