উহুদ যুদ্ধ

ঐতিহাসিকগণ  বলেন ,উহুদ যুদ্ধে মুসলমানগণ  ভীষণভাবে  পরাজিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন । মুসলমানরা যে নিজেদের  ভুলে  এ যুদ্ধে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন ,তাতে কোনো সন্দেহ নেই ।তবে কুরাইশরা  যে মুসলমানদের তুলনায় অল্প ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল  এরও কোনো প্রমাণ খুজে পাওয়া যায় না। পক্ষান্তরে  এ যুদ্ধে মুসলমানদের  পরাজয় হয়েছিল  বলে ঐতিহাসিকগণ যে অভিমত  প্রকাশ  করেছেন , সেটাও

সমর্থন করা যায় না । কারণ মুসলমানরা  পরাজিত হয়ে  থাকলে বিজয়ী  কুরাইশ সৈন্যরা পরাজিত হয়ে  থাকলে বিজয়ী কুরাইশ সৈন্যরা  পরাজিত  মুসলমানদেরকে ধ্বংস না করে রণক্ষেএ পরিত্যাগ করে  গেল কেন ? দেখা যায় , এ যুদ্ধে কুরাইশরা একজন  মুসলমানদেরকেও বন্দি করতে  পারেনি , এমনকি কোনো  আহত  মুসলমান  সৈনিকও তাদের হাতে বন্দি হননি।

যুদ্ধে কুরাইশ  পক্ষের বিজয়  হয়ে থাকলে  এরুপ  হওয়া কোন  মতেই সম্ভবপর  হতো না । ঐতিহাসিকগণ  বলেছেন  কুরাইশ  পক্ষের  মাএ ২২ জন  সৈন্য  নিহত  হয়েছিল । কিন্তু তাদের এ বর্ণনার ওপর  মোটেই  আস্থা রাখা যায় না । কেননা তারা নিজ মুখে  বলেছেন  যে একা হামজা (রা)  এর হাতে  ৩১ জন কুরাইশ  সৈন্য নিহত হয়েছিল । মুসলমানদের পক্ষে ৭০ জন বীর  প্রাণপণে যুদ্ধ করার  পর শাহাদাত প্রাপ্ত হয়েছিলেন । 

মুসলমানদের হাতে যে কত লোক নিহত হওয়া সম্ভব ,তাও সহজে  অনুমান করা যেতে পারে ।যুদ্ধের  প্রথম  অবস্থায় মুসলিম বীরদের প্রচন্ড  আক্রমণ তিন হাজার  কুরাইশ  সৈন্য পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল । তখন শএু বিনাশে মুসলিম  সৈন্যরা  একটুও এুটি করেননি ।সুতরাং  এ সময়ও  যে বহু  সংখ্যক শএু সৈন্য হতাহত হয়েছিল তাতে বিন্দুমাএও  সন্দেহ  থাকতে  পারে না ।                                     এরুপ  অবস্থায়  আমরা  এ যুদ্ধকে এক দলের বিজয়  ও অন্য দলের পরাজয় না  বলে  অমীমাংসিত যুদ্ধ বলতে  পারি ,যাতে উভয় দল নিজ নিজ  সফলতা  ও ক্ষয় -ক্ষতির অংশ লাভ করেছে। তারপর যুদ্ধক্ষেএ  হয়েছে ।  আর অমীমাংসাসিত যুদ্ধ বলতে  পারি ,

এদিকেই আল্লাহ তায়ালা  ইঙ্গিত করে বলেছেন

উহুদ যুদ্ধ ২

1 thought on “উহুদ যুদ্ধ”

Leave a Comment