পরবর্তিতে কুরআন নাজিল হলে তাতে এ যুদ্ধের এক একটি মনজিলের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে এবং বিশদ ব্যাখা করত ওই কারণগুলো চিন্হিত করা হয়েছে। যেগুলোর ফলে মুসলমানদেরকে মারাত্বক ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয়েছিল।আর এ ধরনের ফায়সালাকৃত সময়ে ইমানদের এবং এ উম্মতকে [যাদের অন্যান্য উম্মতের মুকাবিলায় শ্রেষ্ঠ উম্মত হওয়ার সৈাভাগ্য লাভ হয়েছে । যে সব উচু ও গুরুত্বপূর্ন উদ্দেশ্য লাভের জন্যে অস্তিত্বে আনা হয়েছে , সেগুলোর দিক দিয়ে এখনো তাদের বিভিন্ন দলের মধ্যে কী কী দুর্বলতা রয়েছে সেগুলো বলে দেয়া হয়েছে ।
অনুরুপভাবে কুরআন মাজিদে মুনাফিকদের বর্ণনা দিয়ে তাদের প্রকৃত স্বরুপ প্রকাশ করে দেয়া হয়েছে । তাদের অন্তরে আল্লাহ এবং তার রাসুল (সাঃ) বিরুদ্ধে যে শএুতা লুকায়িত ছিল তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে । আর সরলমনা মুসলমানদের অন্তরে এ মুনাফিক এবং তাদের ভাই ইহুদিরা যে কুমন্ এণা ছড়িয়ে রেখেছিল, তা দূরিভুত করা হয়েছে । কুরআনে এ প্রশংসনিয় হিকমত এবং উদ্দেশ্যের দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে ,.যা এ যুদ্ধের ফল ছিল। অসৎকে সৎ হতে পৃথক না করা পর্যন্ত তোমরা যে অবস্থায় রয়েছ আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের সে অবস্থায় ছেড়ে দিতে পারেন না। আর আল্লাহ তায়ালা মুসিনদের সে অবস্থায় ছেড়ে দিতে পারেন না । আর আল্লাহ তায়ালা তোসাদিগেকে অদৃশ্যের তথ্য জানাবেন, কিন্তু তিনি নিজ পয়গম্বরদের মধ্যে যাকে চান নির্বাচিত করেন । কাজেই আল্রাহ ও তার রাসুলের প্রতি ঈমান আনো। যদি তোমরা ইমান এনে পরহেজগারি অবলম্বন করো ,তাহলে তোমাদের জন্য মহা প্রতিদান আছে।
আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে লিখেছেন ।
হাফেজ ইবনে হাজার (রহ) বলেছেন আলেমগণ বলেছেন যে গাজওয়ায়ে উহুদ ও তার মধ্যে মুসলমানদের পরাজয়ে মহান আল্লাহ তাআলার গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যে ও রহশ্য নিহিত ছিল । যেমন অবাধ্যতার প্রায়শ্চিও ও বাধা না পাওয়ার দুর্বিপাক সম্পর্কে মুসলিম জাতিকে সতর্ক করা । কারণ তিরন্দাজগণকে নিজ স্থানে জয় ও পরাজয় উভয় অবস্থাতেই স্থির থাকার জন্য রাসুল (সা) যে নির্দেশ দিয়েছিলেন ,তারা তা অমান্য করে কেন্দ্র পরিত্যাগ করেছিল ,যার পরিণতি হিসেবে এ পরাজয় । এটির উদ্দেশ্য পয়গম্বরগণের সুন্নতের প্রকাশ করা । যদি তাদেরকে বরাবর বিজয়ী করা হয় , তাহলে মুসলিম সমাজে এমন সব লোকের অনুপ্রবেশ ঘটবে যারা মুমিন নয়। তখন সৎ ও অসৎ এর মধ্যে পার্থক্য করা সম্ভব হবে না । আর যদি বরাবর পরাজয়ের পর পরাজয়ের সম্মুখিন হন ,তাহলে নবি প্রেরনের উদ্দেশ্যেই সফল হবে না । কাজেই আকাঙ্খীত উদ্দেশ্য পূরনের জন্য জয় -পরাজয় দুটিরই প্রয়োজন আছে । যাতে সৎ ও অসৎ এর মধ্যে পার্থ্যক্য হয়ে যায় । যেমন মুনাফিকরা কথা ও কাজে তাদের নেফাকি প্রকাশ করে দিলো । আর মুসলমানেরা জানতে পারল , তাদের মধ্যে নিজেদের শএু বর্তমান । কাজেই মুসলমানরা তাদের মুকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ও সতর্ক হলো। একটি উদ্দেশ্যে বা রহস্য এটাও ছিল ,কোনো কোনো ক্ষে েএ সাহায্য আসতে বিলম্ব ঘটলে নমনীয়তার সৃষ্টি হয় ও আত্ম অহংকার নিঃশেষ হয়ে যায় । কাজেই পরিক্ষায় পড়ে যখন মুসলমানগণ বিপন্ন হয়ে পড়লেন তখন তারা ধৈর্য অবলম্বন করলেন আর মুনাফিকরা হা হুতাশ শুরু করে দিলো ।একটা উদ্দেশ্য এও ছিল যে , আল্লাহ তায়ালা বিশ্বাসিগণের জন্য পুরষ্কারের ক্ষে ে েএ {জান্নাতে} এমন অনেক মর্যাদা তৈরি করেছেন ,যেখানে তাদের আমল দ্বারা পৌছা সম্ভব নয়। কাজেই বিপদ ও পরিক্ষার মধ্যে এমন উপাদান নিহিত রেখেছেন ,যা দ্বারা সেই সব মর্যাদায় পৌছতে পারেন । আর একটা হিকমত বা রহস্য এও ছিল যে ,শাহাদাত লাভ আওলায়ে কেরামের সর্বাপেক্ষা বড় পদমর্যাদা তাদের জন্য সরবরাহ করে দেওয়া হয়েছিল ।
অপর একটি রহস্য এমনও হতে পারে যে, আল্লাহ তায়ালা নিজ শএুদেরকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।কাজেই তাদের ধ্বংসের ব্যবস্থা করে আল্লাহর ওলিদেরকে কষ্ট দেওয়াতে সীমাতিরিক্ত অবাধ্যতার কারনে ইমানদারগণকে গুনাহ হতে পবিএ ও পরিচ্ছন্ন এবং বিধর্মি কাফিরগণকে ধ্বংস ও নিঃশেষ করলেন।
https://shorturl.fm/fSv4z
https://shorturl.fm/JtG9d