পিতা -মাতা আত্মিয় স্বজন তথা এক মানুষের কিরুপ আচরণ হওয়া উচিৎ তার বাস্তব সম্মত দিক নির্দেশনা রয়েছে কুরআনে । হযরত আবু হুরাইরা হতে বর্নিত তিনি বলেন , তিনি বললেন,তোমার এক ব্যক্তি আরয করল ,হে আল্লাহ তায়ালার রাসুল আমার সহচর্যে সবচেয়ে বেশি সদাচার পাওয়ার অধিকারী কে?মাতা । তারপর কে?রাসুল (সা) বললেন তোমার মা ।লোকটি আবারো জিঙ্গেস করল তারপর কে রাসুল (সা) বললেন তোমার মা । লোকটি আবারো জিঙ্গেস করল তারপর কে তোমার পিতা। (বুখরি ও মুসলিম) ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লাহ ও তার রসুলের পরে বান্দার হকের মধ্যে পিতা-মাতার হক হচ্ছে সর্বাগ্রে। এই পিতা-মাতার মধ্যে মাতার অধিকার পিতার চেয়েও বেশি যা হাদিস শরিফে স্পস্টতাই বর্ণিত হয়েছে । এর যৌক্তিক কিছু কারণ বা ব্যাখা মুহাদ্দিসগণ দিয়েছেন । যেমন- মা-ই তো সন্তান গর্ভে ধারন করেন । গর্ভ ধারনকালিন সময় অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে দীর্ঘ নয় মাস অতি যতনের সহিত রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রসবকালিন অসহনীয় কষ্ট সহ্য করেন । যে কষ্ট পিতার হয় না ।
হজরত আসমা বিনতে আবু বকর হতে বর্ণিত তিনি বলেন ,কুরাইশদের সাথে মুসলমানদের হুদায়বিয়ার সন্ধি স্থাপনকালে আমার মা আমার কাছে মুশরিকা অবস্থায় আসলেন । আমি রাসুল (স) এর কাছে জিঙ্গেস করলাম ,হে আল্লাহ তাআলার রসুল! আমার মা আমার কাছে এসেছেন তিনি ইসলামের প্রতি অসন্তুষ্ট । এমতাবস্থায় আমি কি তার সাথে সদাচরণ করব ?তিনি বললেন ,হ্যা তার সাথে উওম ব্যবহার কর ।(বুখারি ও মুসলিম )
হজরত আসমা আবু বকর এর কন্যা ছিলেন । তাকে যাতুল নাতাকাইন বলা হয় । কেননা তিনি তার পায়জামার রশিকে চিরে দ্বিখন্ডিত করে এক ভাগ দিয়ে রসুলের হিজরত উপলক্ষে মালপএ বেধে ছিলেন তিনি প্রখ্যাত সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর এর মাতা ছিলেন ।তিনি তার বোন আয়েশা থেকে দশ বছরের বড় ছিলেন । তিনি তার ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর এর মর্মন্তিক মর্মান্তিক মৃত্যুর দশদিন পরে মক্কায় ৭৩ হিজরিতে ইন্তিকাল করেন ।