খন্দকের যুদ্ধ

কুরাইশরা  উহুদ  যুদ্ধে সাময়িক জয়লাভ করলেও এতে তাদের আশানুরুপ সাফল্য অর্জিত হয়নি । তারা মক্কার সাথে মদিনাকে অর্ন্তভূক্ত করার জন্য এবং তাদের বাণিজ্য পথের নিরাপওা নিশ্চিত করার জন্য কোন সেনাবাহিনি মদিনায় রেখে যায়নি । ফলে কুরাইশদের যুদ্ধক্ষেএ ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানগণ নিজেদের সংগঠিত করে পূর্বের তুলনায় অধিকতর শক্তিশালি হয়ে উঠেন । মদিনায় মুসলমানদের এই শক্তি বৃদ্ধিতে মক্কার কুরাইশগণ ভীত  হয়ে পড়ল ।

বেদুঈনদের শএুতাঃ

মদিনার শহরতলিতে বসবাসকারী বেদু্‌ঈনরা  লুটতরাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করত । হযরত মুহাম্মদ (স) তাদের এ সব কার্যকলাপ বন্ধ করার নির্দেশ দেন ।এমনকি কয়েকবার তাদেরক এ জন্য শাস্তি প্রদান করেন । সঙ্গত কারনে মুসলমানদের উপর বেদু্‌ঈনরা  অসন্তুষ্ট ছিল । প্রতিশোধ গ্রহনের বাসনায় তারাও কুরাইশদের সাথে হাত মিলাল ।

ইহুদিদের উসকানি ঃ উহুদ যুদ্ধের পর মদিনা হতে বানু নাযির গো ে এর  ইহুদিদের বহিস্কার করা হয়েছিল । তারা খায়বারের ওয়াদি আল কুরা ও সিরিয়ার বাণিজ্য পথে এবং অন্যান্য জায়গায় বসতি স্থাপন করল ।অবিলম্বে এসব ইহুদি স্থানিয় ও পাশ্ববর্তি  লোকদেরকে মুসলিম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে  উওেজিত করতে লাগল।তাদের প্ররোচনায় প্রভাবিত হয়ে সব ইহুদি গোএই মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হলো । উপরন্তু তারা মক্কার কুরাইশদের মদিনা পুনরাক্রমনের জন্য অনবরত উওেজিত করতে থাকে ।

যুদ্ধের ঘটনাঃ ৬২৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ আবু সুফিয়ান কুরাইশ,ইহুদি ও বেদুঈনদের একটি সম্মিলিত বাহিনির  নেতৃত্ব দান করে ১০০০০ সৈন্যসহ মদিনার দিকে অগ্রসর হয়।মহানবি (স)৩০০০ সৈন্য সংগ্রহ করে এই সম্মিলিত বাহিনিকে প্রতিরোধ করার উপায় উদ্ভাবনের  লক্ষ্য পরামর্শ সভা আহ্বান করেন। সভায় পারস্যবাসি হযরত সালমান ফারসি (রা) এর পরামর্শ গৃহিত হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী  শহরের তিন দিকে অরক্ষিত স্থানে পরিখা করা হয়।পরিখা অথবা খন্দক হতেই  এ যুদ্ধের নামকরন হয়েছে  খন্দকের যুদ্ধ। পবিত্র কুরআনে এটা আহযাবের যুদ্ধ নামে অভিহিত  হয়েছে।

আত্মরক্ষার এ অভিনব কৌশল দেখে  বিধর্মি কুরইশরা  বিস্মিত হলো।আপ্রাণ চেষ্টা করেও  তারা মদিনায় প্রবেশ করতে  সমর্থ হলো না। তিন সপ্তাহের অধিককাল মদিনা অবরোধ করে অবশেষে তারা রণে ভঙ্গ দেয়। বেদুইন কুরাইশ ও ইহুদিদের দ্বারা গঠিত এি শক্তির মধ্য ঐক্যর অভাব, প্রাকৃতিক  বিপর্যায় মহানবি (স) এর  রণ কৌশল মুসলিম গোয়েন্দা  বাহিনির কর্তব্যনিষ্ঠা এবং মুসলিম বাহিনির  অসাধারণ ঐক্য ও শৃঙ্খলাবোধ শএুপক্ষের পরাজয়ের পেছনে কার্যকর  ভুমিকা পালন করেছিল।

Leave a Comment