উমাইয়া বিন খালফের নিহত হওয়ার ঘটনাঃদ্বিতিয় হিজরির ১৭ রমযান মোতাবেক৬২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ মার্চ শুক্রবার ইসলামের প্রথম রক্তক্ষয়ী সংঘটিত হয় ‘‘বদর’’ নামক প্রান্তরে ।ইসলামের ইতিহাসে এ যুদ্ধ বদরের যুদ্ধ নামে খ্যাত। স্বয়ং রাসূল (স) এর নেতৃত্বে ৩১৩জন সাহাবি মদিনা থেকে ৮০ মাইল দূরে আবু জেহেলের১০০০ সৈন্যের মোকাবেলায় রক্তক্ষয়ি যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। মুসলমানদের ১৪ জন শাহাদাত বরণ করেন ।কাফিরদের ৭০জন নিহত ও ৭০ জন বন্দি হয় ।তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল আবু জাহল ও উমাইয়া বিন খালফ ।নিম্নে উমাইয়া বিন খালফের নিহত হওয়ার ঘটনা এবং তার আবু জাহলের মধ্যকার কথাবার্তার বিবরণ দেয়া হলো । উমাইয়া বিন খালফ -এর বন্ধু ছিল সাদ (রা)।তিনি মদিনা থেকে মক্কায এলে উমাইয়ার কাছে আতিথ্য গ্রহণ করতেন ।উমাইয়ার বদর প্রান্তরে নিহত হওয়ার আগাম সংবাদ সাদ (রা) তাকে জানিয়ে দিলেন ,যা আল্লাহর রাসুল তাকে জানিয়েছিলেন। উমাইয়া মক্কা ছেড়ে দূরে কোথাও যাবে না – এ মর্মে প্রতিঙ্গা করার পরও একদা আবু জাহল তার দ্বারে এসে তাকে বদর যুদ্ধে শরীক হওয়ার আহ্বান জানায়। উমাইয়ার ক্ষীন মানসিকতা দেখে তাকে এ বিষয়ে উজ্জিবিত করার নিমিওে আবু জাহল তাকে বলল ‘হে আবু সাফওয়ান!তুমি তো এ উপত্যকার অধিবাসিদের একজন নেতা। তুমি না গেলে কেউ বের হবে না ।আবু জাহেলের বার বার বলার প্রেক্ষিতে উমাইয়া মক্কার মধ্যে সবচেয়ে সুস্থ ও দ্রুতগতি সম্পন্ন একটি উট ক্রয় করলো ।এবং তার বিবিকে সফরের জিনিস ও হাতিয়ারাদি ঠিক করে দিতে বলল ।সহধর্মীনী বলল তুমি তোমার বন্ধুর কথা ভুলে গিয়েছো ? সে বলল না ভূলিনি ।তবে আমি তাদের সাথে কিছু সময় ও কিছু পথ যেতে চায় ।রওয়ানা হওয়ার পর রাস্তাই যে মনযিলেই সে কিছুকাল অবস্থান করেছে , সেখানেই সে তার উট বেধে রেখেছে । গোটা পথ সে এরকম করেছে । শেষ পর্যন্ত ‘বদর’ নামক প্রান্তরে আল্লাহ তাকে মৃত্যু দানকরলেন।