মুশরিকদের শাস্তিঃ

নিশ্চয় মুশরিক ও আহলে কিতাবের যারা কুফুরি করেছে তাদের স্থান জাহান্নামে । সেখানে তারা চিরস্থায়ী অবস্থান করবে ।তারাই হলো সর্বনিকৃষ্ট সৃষ্টিজীব ।(সূরা বাইয়িনা ঃ৬)

আরো আল্লাহর বাণী

যারা আল্লাহ ও তার রসুলের প্রতি অস্বীকৃতি  জানায় তদুপরি  আল্লাহ ও রসুলের  প্রতি বিশ্বাসে  তারতম্য করতে চায় আর বলে যে  আমরা কতককে প্রত্যাখ্যান করি এবং  এরই  মধ্যবর্তি কোন পথ অবলম্বন করতে চায় । প্রকৃতপক্ষে  এরাই সত্য প্রত্যাখ্যানকারী তাদের জন্য তৈরী করে রেখেছি  অপমানজনক আজাব ।’’ (সূরা নিসা ঃ১৫০-১৫১)

৩.আব্দুল্লাহ  ইবনু মাসউদ থেকে বর্ণিত নবী বলেছেন: যে ব্যক্তি শিরক করা  অবস্থায় মারা যাবে সে জান্নাতে  প্রবেশ করবে ।

শিরকের ভিওিঃ 

শিরকের  ভিওি ও ঘাটি যার  উপর শিরকের বুনিয়াদ তা হলো গাইরুল্লাহ এর সাথে  সম্পর্কে স্থাপন । আর যে গাইরুল্লাহ এর সাথে সম্পর্কে স্থাপন করবে ,আল্লাহ তাকে যার সঙ্গে সে সম্পর্ক করেছে  তার দিকে সোপর্দ করে দিবেন । তার দ্বারা তাকে শাস্তি দেবেন  এবং যার সঙ্গে সম্পর্ক জুড়েছে   সেদিক থেকে অপদস্থ করবেন ।যার ফলে সে সবার নিকট ঘৃণিত হবে কেউ তার প্রশংসাকারী থাকবে না । অপদস্থ হবে কেউ তার সাহায্যকারী হবে না ।

যেমন আল্লাহ বলেন : আল্লাহ সঙ্গে  অন্য কাউকে শরিক করো না । তাহলে তুমি  নিন্দিত ও অসহায়  হয়ে পড়বে । (সূরা বনি ইসরাইল২২)

শিরকের সূক্ষ বুঝঃ                                                                                                          আল্লাহর সাথে তার নামসমুহ ও গূণাবলিতে ,তার বিধানে ,তার এবাদতে শিরক করা । এ হলো শিরকের  প্রকারসমুহ ।প্রথমটি হলো  রবুবিয়াতে শিরক । দ্বিতিয়টি হলো আনুগত্যে শিরক ।তৃতিয়টি হলো  এবাদতে শিরক । আল্লাহ তায়ালা হলেন সুমহান  একমাএ প্রতিপালক  এবং সমস্ত সৃষ্টিরাজির একমাএ সৃষ্টিকর্তা ।

আর আল্লাহর সাথে তার বিধানে শিরক করা তার এবাদতে শিরক করার মতই ।দুটিই বড় শিরক যা মিল্লাতে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয় ; কারন ইবাদাত একমাএ  আল্লাহর হক যার কোন শরিক নেই ।

আব্দুল্লাহ ইবনে  আমর  ইবনে  আস থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন  আল্লাহর নবী নূহ  এর  মৃত্যুকালে  তার ছেলেকে বলেন :আমি তোমাকে  অসিয়ত করছি :দুটি জিনিসের  নির্দেশ করছি এবং অপর দুটি জিনিস থেকে  নিষেধ করছি । আদেশ করছি  লা ইলাহা ইল্লাহ এর । স্মরণ রাখ !যদি সাত আসমান ও সাত যমিন  এক পাল্লায় রাখা হয় আর অপর পাল্লায় রাখা হয় ‘‘ লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ  এর তবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ  এর পাল্লা ভারি  হয়ে যাবে । যদি সাত আসমান  ও সাত যমিন  একটি অবিচ্ছেদ্য গোলাকার বৃও হত তাহলে  লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও সুবহানাল্লিহ ওয়াবি  হামদিহি  সবকিছুকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলতো। ইহা প্রতিটি জিনিসের দোয়া এবং  এর মাধ্যমেই সৃষ্টিরাজি  রুজি পেয়ে থাকে । আর তোমাকে নিষেধ করি শিরক  ও অহংকার থেকে ।

 

Leave a Comment