সফর তথা হলো নিজ বসাবাসের স্থান ছেড়ে অন্যএ গমন করা । সফর অবস্থায় নামায কসর (সংক্ষিপ্ত করণ ) ও জমা তথা এক েএ আদায় করা জায়েজ করা ইসলামের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট:কারণ সফরে অধিকাংশ সময় কষ্ট হয়ে থাকে আর ইসলাম দয়া ও সহজের দ্বীন । ইয়ালা ইবনে উমাইয়া আমি উমার ইবনে খাওাব কে যখন বললাম আল্লাহর বাণীঃ
নামাযকে কসর করে আদায় করলে তোমাদের প্রতি পাপ নেয় যদি ভয় কর যে ,যারা কাফের তারা তোমাদেরকে ফেৎনায় ফেলতে পারে ।(সূরা নিসা ঃ১০১) তখন তিনি বললেন ,তুমি যেমন আশ্চর্য হচ্ছ আমিও তেমনি আশ্চর্য হয়ে রাসুলুল্লাহ (কে) এ ব্যাপারে জিঙ্গাসা করেছিলাম। উওরে তিনি বলেন : ইহা একটি দান যা আল্লাহ তায়ালা তোমাদের প্রতি দান করেছেন । অতএব আল্লাহর দান কবুল করে নেও ।
💠কসর ও জমা করার বিধানঃ সফরে নিরাপদে বা ভয় উভয় অবস্থাতে কসর করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। কসর হচ্ছে চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ যেমন:যোহর ,আসর ও এশার নামাজ দুই দুই রাকাত করে আদায় করা। আর ইহা সফর ব্যতিত অন্য কোন অবস্থাতে জায়েজ নেই।আর মাগরিব ও ফজর নামাযে কসর নেই ।জমা তথা এক েএ নামাজ আদায় করা শর্ত মোতাবেক বাড়িতে ও সফরে জায়েজ।
🔷যখন মুসাফির হেটে বা যানবাহন স্থলে পথে বা জল পথে কিংবা পানি পথে সফর করবে তখন তার জন্য চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজকে কসর করে দুই রাকাত করে পড়া সুন্নত।আর প্রয়োজনে সফর শেষ হওয়া পর্যন্ত দুই ওয়াক্তের নামাজকে কোন একটির সময়ে এক েএ আদায় করাও জায়েজ।
আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:নামাজ প্রথমত :দুই রাকাত করে ফরজ করে ফরজ করা হয়। অতঃপর সফরের নামাজ আসল তবিয়তে বহাল থেকে যায়,আর বাড়িতে থাক অবস্থার নামাজ (চার রাকাত)পূরণ করা হয়।
🔰প্রচলন ও প্রথা অনুযায়ী যাকে সফর বলা হয় তার সাথে সফরের বিধানসমুহ সম্পৃক্ত হয়। আর তা হলো নামাজের কসর ও জমাকরণ এবং রোজা না রাখা ও মোজার উপর মাসেহ করা ।
🔰মুসাফির যখন তার জনপদের বসতি এলাকা থেকে বের হবে তখন থেকেই কসর ও এক েএ নামায আদায় করতে পারবে । আর সঠিক মতে সফরের জন্য নির্দিষ্ট কোন দুরত্ব নেই বরং এর ফয়সালা নিজ নিজ দেশ ও এলাকার প্রথা মোতাবেক হবে ।অতএব,যখনই সফর করবে এবং অবস্থান কিংবা বসবাসের নিয়ত করবে না সে মুসাফির ,তার উপর সফরের সকল বিধান অর্পিত হবে যতক্ষণ সে তার শহরে ফিরে না আসবে।
🔰সফরে কসর করা সুন্নত,তাই সফর যাকে বলে তাতেই কসর করবে । কিন্ত যদি কসর না করে পূর্ন নামাজ আদায় করে ,তবে তার নামাজ সঠিক হবে । 🔰যখন মুসাফির মুকিম (বাড়িতে অবস্থানকারী)ব্যক্তির পিছনে নামাজ আদায় করবে ,তখন সে পূর্ণ নামাজ পড়বে ।আর যদি মুকিম মুসাফিরের পিছনে নামাজ আদায় করে ,তবে সুন্নত হলো মুসাফির কসর করবে আর মুকিম সালামের পরে তার নামাজ পূর্ণ করে নিবে ।
🔰সুন্নত হলো মুসাফির যখন সে স্থানের মুকিমদেরকে নিয়ে নামাজ পড়াবেন তখন দুই রাকাত আদায় করে সালাম ফিরিয়ে বলবে: আতিম্মু সলাতাকুম ফাইন্না কাওমু সাফার ‘’অর্থ তোমরা তোমাদের নামাজ পূর্ণ করে নেও আমরা মুসাফির জাতি ।
সফরে তাহাজ্জুদ ,বিতর ও ফজরের সুন্নত ছাড়া সুনানে রাওয়াতিবা তথা নামাজের আগে ও পরের নামাজগুলো ছেড়ে দেওয়াই সুন্নত।আর সাধারণ নফল নামাজগুলো সফরে ও বাড়িতে আদায় করা জায়েজ।অনুরুপ কারনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নামাজ যেমন:ওযুর সুন্নত,কাবা ঘরের তওয়াফ শেষে সুন্নত,তাহিয়্যাতুল মসজিদ ও চাশত ইত্যাদি নামাজ।
🖤পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরের জিকিরগুলো নারী-পুরুষ ও সফরে ও বাড়িতে পড়া সুন্নত। বিমানের পাইলট বা গাড়ির চালক কিংবা পানি জাহাজের নাবিক কিংবা রেলগাড়ির ড্রাইভার এবং যাদের সফর সর্বদা লম্বা সময় ধরে চলতে থাকে ,তাদের জন্য জায়েজ হলো সফরের রখসত গ্রহণ করা ।যেমন ;নামাযের কসর ও এক্েেএ আদায় এবং রমজান মাসে রোজা না করা ও মোজার উপর মাসেহ করা।
💙মুসাফিরের জন্য সুন্নত হলো যখন সে তার বাড়িতে ফিরে আসবে তখন প্রথমে মসজিদে গিয়ে দু ” রাকাত নামাজ আদায় করে তারপর বাড়িতে প্রবেশ করা ।
❣কসরের ব্যাপারে লক্ষনীয় হচ্ছে স্থান সময় নয় ।তাই যদি মুসাফির বাড়ির নামাজ ভুলে যায় এবং সফরে স্মরণ হয় তবে তা কসর করে আদায় করবে । আর যদি সফরের নামাজ বাড়িতে আসার পর স্মরণ হয় তবে পূর্ণ নামাজ আদায় করবে ।
🔅যদি মুসাফিরকে আটক করা হয় আর সে অবস্থানের নিয়ত না করে অথবা অবস্থানের নিয়ত ছাড়াই কোন প্রয়োজনে অবস্থান করে তবে সে কসর করবে যদিও তার সফল লম্বা হউক না কেন।
🔆যদি নামাজের সময় হওয়ার পর সফর করে তবে কসর ও এক েএ আদায় করা জায়েজ । আর যদি সফর অবস্থায় নামাজের সময় হওয়ার পর নিজ শহরে প্রবেশ করে পূর্ণ নামাজ আদায় করবে এবং এক্েএ ও কসর করে না
🔅যদি বিমানে হয় আর নামাজ পড়ার কোন স্থান না পায়,তবে তার স্থানে দাঁড়িয়ে কিবলামুখি হয়ে নামাজ আদায় করবে । আর শক্তি অনুসারে রুকুর জন্য ইশারা করবে । এরপর সিটে বসবে ও শক্তি হিসাবে সেজদার জন্য ইঙ্গিত করবে ।
🔅যে ব্যক্তি মক্কা বা অন্য কোথাও সফর করবে সে ইমামের পিছনে পূর্ণ নামাজ আদায় করবে । আর যদি ইমামের সঙ্গে নামাজ না পায় ,তবে সুন্নত হলো সে কসর পড়বে । আর যে ব্যক্তি কোন জনপদের পাশ দিয়ে সফররত অবস্থায় অতিক্রম করার সময় আজান বা একামত শুনতে পায় আর সে নামাজ পড়ে নাই,তাহলে চাইলে সে অবতরণ করে জামাতে নামাজ পড়তে পারে অথবা তার সফরকে অব্যাহত রাখতে পারে ।
🔆যে ব্যক্তি যোহর ও আসর কিংবা মাগরিব ও এশার নামাজ এক েএ আদায় করতে চায় , সে আজান দিবে অতঃপর একামত দিয়ে প্রথম ওয়াক্ত পড়ে আবার একামত দিয়ে দ্বিতিয় ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে । আর মুসল্লিরা সকলে জামাত করে আদায় করবে ।যদি ঠান্ডা বা বাতাস কিংবা বৃষ্টি হয় ,তবে তাদের বাড়িতেই নামাজ আদায় করবে ।
🔅সফরে এক েএ নামাজ আদায়ের পদ্ধতি ঃ
মুসাফিরের জন্য যোহর ও আসর এবং মাগরিব ও এশার নামাজ কোন একটির সময়ে তরতিব সহকারে এক েএ আদায় করা জায়েজ । অথবা দুই নামাজের মধ্যবর্তি সময়ে । যদি কোথাও অবতরণ করে তবে যা সহজ হয় তাই করবে । আর যখন চলন্ত অবস্থায় থাকবে তখন সুন্নত হলো সুর্য ডুবে গেলে চলার আগে মাগরিবের সময় এশাকে আগিয়ে নিয়ে এক েএ পড়ে নিবে ।আর সুর্য ডুবার পূর্বে চলতে আরম্ভ করলে মাগরিবকে পিছিয়ে নিয়ে এশার সময় এক েএ আদায় করবে ।
🔅আর যদি সুর্য ঢলার পরে সফর আরম্ভ করে তবে আসরকে এগিয়ে নিয়ে যোহরের সময় এক েএ আদায় করবে । আর যদি সূর্য ঢলার পূর্বে সফর শুরু করে তবে যোহরকে পিছিয়ে নিয়ে আসরের সময় এক েএ আদায় করবে ।
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত তিনি বলেন ,রাসুলুল্লাহ (স) চলন্ত অবস্থায় থাকলে যোহর ও আসরকে জমা তথা এক েএ আদায় করতেন । অনুরুপ মাগরিব ও এশার নামাজও এক েএ আদায় করতেন । আনাস ইবনে মালেক থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সুর্য ঢলার পূর্বে সফর করলে যোহরকে আসরের সময় পর্যন্ত দেরী করতেন । অতঃপর করে যোহর ও আসর এক েএ আদায় করতেন ।আর সফরের পুর্বে সূর্য ঢলে গেলে যোহর আাদায় করে নিয়ে বাহনে আরোহন করতেন ।
🔺হজ্বরত অবস্থায় আরাফাতে যোহর ও আসরকে যোহরের সময় এক্েেএ কসর করে আদায় করা সুন্নত। অনুরুপ মুযদালিফায় কসর করে মাগরিবকে দেরি করে এশার সময় এক েএ আদায় করাও সুন্নত।যেমনটি মহানবি (সা)করেছিলেন।
🔺সহজসাধ্য হলে সফরকারীদের উপর জামাত করে নামাজ আদায় করা ওয়াজিব ।আর তা না হলে সামর্থ হিসাবে একাকি আদায় করবে। বিমানে বা পানি জাহাজে কিংবা রেলগাড়ি ইত্যাদিতে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি না পারে তবে বসে বসে আদায় করবে এবং রুকু ও সেজদা ইশারায় করবে। ফরজ নামাজ হলে কিবলামুখি হয়ে পড়বে এবং তার জন্য আজান ও একামত দেওয়া সুন্নত যদিও একাকি হয় না কেন ।
🔺মুসাফিরের জন্য বাহনের পিঠে নফল নামাজ পড়া জায়েজ।আর সুন্নত হলো তকবিরে তাহরিমার সময় কিবলামুখি হওয়া যদি সহজ সাধ্য হয় ।আর তা না হলে যে দিকেই বাহন যাক সেদিক হয়ে নফল নামাজ পড়বে তাতে কোন অসুবিধে নেয় ।দিনের প্রথম ভাগে সফরের জন্য বের হওয়া সুন্নত। আর মুস্তাহাব হচ্ছে সহজ হলে বৃহস্পতিবারে সফর করা । একাকি সফর না করাও সুন্নত ।যদি তিন জন বা এর অধিক হয় তবে একজনকে তাদের আমির বানাবে।
মুকিম অবস্থায় বাড়িতে এক্ েএ নামাজ আদায়ের বিধানঃ বাড়িতে থাকা অবস্থায় যোহর ও আসর অথবা মাগরিব ও এশার নামাজ এমন রোগী যার যথা সময়ে পড়তে কষ্ট হয় ,তার জন্য এক েএ আদায় করা জায়েজ ।অনুরুপ বৃষ্টিময় রা িএতে অথবা ঠান্ডা রা িএতে কিংবা কাদামাটি হলে বা প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস বইলে।ঐরুপ মুস্তাহাযা (প্রদর রোগিণী)মহিলা ও বহুমুএ রোগী এবং যার নিজের বা পরিবার কিংবা সম্পদ ইত্যাদির উপর ভয় হয় তার জন্যও জায়েজ।
🕳সফর তথা ভ্রমণ হলো নিজ বসাবাসের স্থান ছেড়ে অন্যএ গমন করা ।
🕳সফর অবস্থায় নামাজ কসর ও জমা তথা এক্ েএ আদায় করা জায়েজ করা ইসলামের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট:কারণ সফরে অধিকাংশ সময় কষ্ট হয়ে থাকে আর ইসলাম দয়া ও সহজের দ্বীন ।
ইয়ালা ইবনে উমাইয়া বলেন ,আমি উমার ইবনে খাওাব কে যখন বললাম ,আল্লাহর বাণী নামাজকে কসর করে আদায় করলে তোমাদের প্রতি পাপ নেয় যদি ভয় কর যে ,যারা কাফের তারা তোমাদেরকে ফেৎনায় ফেলতে পারে । (সূরা নিসা ঃ১০১)
তখন তিনি বললেন ,তুমি যেমন আশ্চর্য হচ্ছ আমিও তেমনি আশ্চর্য হয়ে রাসুলুল্লাহ কে এ ব্যপারে জিঙ্গাসা করেছিলাম ।উওরে তিনি বললেন ,তুমি যেমন আশ্চর্য হয়ে রাসূল (সা) কে এ ব্যপারে জিঙ্গাসা করেছিলাম । উওরে তিনি বলেন ইহা একটি দান যা আল্লাহ তায়ালা তোমাদের প্রতি দান করেছেন ।অতএব আল্লাহর দান কবুল করে নেও ।
কসর ও জমা করার বিধান ঃ সফরে নিরাপদে বা ভয় উভয় অবস্থাতে কসর করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা ।কসর হচ্ছে চার রাকাত বিশিষ্ট নামায যেমন :যোহর ,আসর ও এশার নামাজ দুই দুই রাকাত করে আদায করা । আর ইহা সফর ব্যতিত অন্য কোন অবস্থাতে জায়েজ নেই । আর মাগরিব ও ফজর নামাজে কসর নেই। জমা তথা একএ নামাজ আদায় করা শর্ত মোতাবেক বাড়িতে ও সফরে জায়েজ ।
🕳যখন মুসাফির হেটে বা যানবাহনে স্থল পথে বা জল পথে কিংবা পানি পথে সফর করবে তখন তার জন্য চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাযকে কসর করে দুই রাকাত পড়া সুন্নত । আর প্রয়োজনে সফর শেষ হওয়া দুই ওয়াক্তের নামাযকে কোন একটির সময়ে এক েএ আদায় করাও জায়েজ ।
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন ঃনামাজ প্রথমত ঃদুই রাকাত করে ফরজ করা হয় । অতঃপর সফরের নামাজ আসল তবিয়তে বহাল থেকে যায় , আর বাড়িতে থাক অবস্থার নামাজ (চার রাকাত ) পূরণ করা হয়।
🕳মুসাফির যখন তার জনপদের বসতি এলাকা থেকে বের হবে তখন থেকেই কসর ও এক্েএ নামাজ
আদায় করতে পারবে । আর সঠিক মতে সফরের জন্য নির্দিষ্ট কোন দুরুত্ব নেই বরং এর ফয়সালা নিজ নিজ দেশ ও এলাকার প্রথা মোতাবেক হবে । অতএব যখনই সফর করবে এবং অবস্থান কিংবা বসবাসের নিয়ত করবে না সে মুসাফির , তার উপর সফরের সকল বিধান অর্পিত হবে যতক্ষণ সে তার শহরে ফিরে না আসবে ।
🕳সফরে কসর করা সুন্নাত ,তাই সফর যাকে বলে তাতেই কসর করবে।কিন্ত যদি কসর না করে পূর্ণ নামাজ আদায় করে,তবে তার নামাজ সঠিক হবে ।
🕳যখন মুসাফির মুকিম (বাড়িতে অবস্থানকারী)ব্যক্তির পিছনে নামাজ আদায় করবে তখন সে পূর্ণ নামাজ পড়বে । আর যদি মুকিম মুসাফিরের পিছনে নামাজ আদায় করে ,তবে সুন্নত হলো মুসাফির কসর করবে আর মুকিম সালামের পরে তার নামাজ পূর্ণ করে নিবে ।
🕳সুন্নত হলো মুসাফির যখন সে স্থানের মুকিমদেরকে নিয়ে নামাজ পড়াবেন তখন দুই রাকাত আদায় করে সালাম ফিরিয়ে বলবে :আতিম্মু সলাতাকুম ফাইন্না কাওমু সাফার ‘’ অর্থ:তোমরা তোমাদের নামাজ পূর্ণ করে নেও আমরা মুসাফির জাতি ।
🕳সফরে তাহাজ্জুদ,বিতর ও ফজরের সুন্নত ছাড়া সুনানে রাওয়াতিবা তথা নামাযের আগে ও পরের নামাজগুলো সফরে ও বাড়িতে আদায় করা জায়েজ। অনুরুপ কারণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নামায যেমন :ওযুর সুন্নত,কাবা ঘরের তাওয়াফ শেষে সুন্নত,তাহিয়্যাতুল মসজিদ ও চাশত ইত্যাদি নামাজ ।
🕳পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরের জিকিরগুলো নারী-পুরুষ ও সফরে ও বাড়িতে পড়া সুন্নত ।
🕳বিমানের পাইলট বা গাড়ির চালক কিংবা পানি জাহাজের নাবিক কিংবা রেলগাড়ির ড্রাইভার এবং যাদের সফর সর্বদা লম্বা সময় ধরে চলতে থাকে ,তাদের জন্য জায়েজ হলো সফরের রোখসত গ্রহন করা ।যেমন :নামাজের কসর ও এক্েএ আদায় এবং রমযান মাসে রোজা না করা ও মোজার উপর মাসেহ করা ।
🕳মুসাফিরের জন্য সুন্নত হলো যখন সে তার বাড়িতে ফিরে আসবে তখন প্রথমে মসজিদে গিয়ে দু রাকাআত নামায আদায় করে তারপর বাড়িতে প্রবেশ করা ।
কসরের ব্যাপারে লক্ষণীয় হচ্ছে স্থান সময় নয় । তাই যদি মুসাফির বাড়ির নামাজ ভুলে যায় এবং সফরে স্মরণ হয় তবে তা কসর করে আদায় করবে । আর যদি সফরের নামাজ বাড়িতে আসার পর স্মরণ হয় তবে পূর্ণ নামায আদায় করবে ।
যদি মুসাফিরকে আটক করা হয় আর সে অবস্থানের না নিয়ত করে অথবা অবস্থানের নিয়ত না করে অথবা অবস্থানের নিয়ত ছাড়াই কোন প্রয়োজনে অবস্থান করে তবে সে কসর করবে যদিও তার সফর লম্বা হউক না কেন ।
যদি নামাযের সময় হওয়ার পর সফর করে তবে কসর ও এক্েেএ আদায় করা জায়েজ । আর যদি সফর অবস্থাতে নামাজের সময় হওয়ার পর নিজ শহরে প্রবেশ করে পূর্ণ নামাজ আদায় করবে এবং এক েএ ও কসর কবে না ।
যদি বিমানে হয় আর নামায পড়ার কোন স্থান না পায় ,তবে তার স্থানে দাঁড়িয়ে কিবলামুখি হয়ে নামাজ আদায় করবে । এরপর সিটে বসবে ও শক্তি হিসাবে সেজদার জন্য ইঙ্গিত করবে ।
🕳যে ব্যক্তি মক্কা বা অন্য কোথাও সফর করবে সে ইমামের পিছনে পূর্ণ নামাজ আদায় করবে । আর যদি ইমামের সংগে নামায না পায় তবে সুন্নাত হলো সে কসর করে পড়বে ।আর যে ব্যক্তি কোন জনপদের পাশ দিয়ে সফররত অবস্থায় অতিক্রম করার সময় আজান বা একামত শুনতে পায় আর সে নামাজ পড়ে নাই ,তাহলে চাইলে সে অবতরণ করে জামাতে নামাজ পড়তে পারে অথবা তার সফরকে অব্যাহত রাখতে পারে ।
🕳সফরে একসোথে নামাজ আদায়ের পদ্ধতি :
মুসাফিরের জন্য যোহর ও আসর এবং মাগরিব ও এশার নামাজ কোন একটির সময়ে তরতিব সহকারে এক েএ আদায় করা জায়েজ । অথবা দুই নামাযের মধ্যবর্তি সময়ে । যদি কোথাও অবতরণ করে তবে যা সহজ হয় তাই করবে । আর যখন চলন্ত অবস্থায় থাকবে তখন সুন্নত হলো সূর্য ডুবে গেলে চলার আগে মাগরিবের সময় এশাকে আগিয়ে নিয়ে এক্েএ পড়ে নিবে । আর সূর্য ডুবার পূর্বে চলতে আরম্ভ করলে মাগরিবকে পিছিয়ে নিয়ে এশার সময় এক্ েএ আদায় করবে ।আর যদি সূর্য ঢলার পরে সফর আরম্ভ করে তবে আসরকে এগিয়ে নিয়ে যোহরের সময় এক্েেএ আদায় করবে ।
🕳ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত তিনি বলেন ,রাসুল (সা) চলন্ত অবস্থায় থাকলে যোহর ও আসরকে জমা তথা এক্েএ আদায় করতেন ।অনুরুপ মাগরিব ও এশার নামাজও এক্েএ আদায় করতেন ।
২.আনাস ইবনে মালেক থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রসুলুল্লাহ সূর্য ঢলার পূর্বে সফর করলে যোহরকে আসরের সময় পর্যন্ত দেরী করতেন । অতঃপর অবতরণ করে যোহর ও আসর এক েএ আদায় করতেন । আর সফরের পূর্বে সূর্য ঢলে গেলে যোহর আদায় করে নিয়ে বাহনে আরোহণ করতেন ।
হযরত অবস্থায় আরাফাতে যোহর ও আসরকে যোহরের সময় এক্েএ কসর করে আদায় করা সুন্নত। অনুরুপ মুযাদালিফায় কসর করে মাগরিবকে দেরী করে িএশার সময় এক্েএ আদায় করাও সুন্নত। যেমনটি মহানবি (স)করেছিলেন ।
সহজ সাধ্য হলে সফরকারীদের উপর জামাত করে নামায আদায় করা ওয়াজিব ।আর তা নাহলে সামর্থ হিসেবে িএকাকি আদায় করবে । বিমানে বা পানি জাহাজে কিংবা রেলগাড়ি ইত্যাদিতে দাড়িয়ে নামায পড়বে । যদি না পারে তবে বসে বসে আদায় করবে । এবং রুকু ও সেজদা ইশারাই করবে । ফরজ নামাজ হলে কিবলামুখি হয়ে পড়বে এবং তার জন্য আজান ও একামাত দেওয়া সুন্নত যদিও একাকি হয় না কে আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নামায প্রথমত দুই রাকাত করে ফরজ করা হয় । অতঃপর সফরের নামাজ আসল তবিয়তে বহাল থেকে যায়,আর বাড়িতে থাক অবস্থার নামাজ (চার রাকাত )পূরণ করা হয় ।
প্রচলন ও প্রথা অনুযায়ি যাকে সফর বলা হয় তার সাথে সফরের বিধানসমুহ সম্পৃক্ত হয় । আর তা হলো নামাযের কসর ও জমাকরণ এবং রোজা না রাখা ও মোজার উপর মাসেহ করা ।
মুসাফির যখন তার জনপদের বসতি এলাকা থেকে বের হবে তখন থেকেই কসর ও এক েএ নামায আদায় করতে পারবে । আর সঠিক মতে সফরের জন্য নির্দিষ্ট কোন দুরুত্ব নেই বরং এর ফয়সালা নিজ নিজ দেশ ও এলাকার প্রথা মোতাবেক হবে । অতএব যখনই সফর করবে এবং অবস্থান কিংবা বসবাসের নিয়ত করবে না সে মুসাফির ,তার উপর সফরের সকল বিধান অর্পিত হবে যতক্ষণ সে তার শহরে ফিরে না আসবে ।
সফরে কসর করা সুন্নত ,তাই সফর যাকে বলে তাতেই কসর করবে । কিন্ত যদি কসর না করে পূর্ন নামায আদায় করে ,তবে তার নামায সঠিক হবে ।
যখন মুসাফির মুকিম (বাড়িতে অবস্থানকারী )ব্যক্তির পিছনে নামাজ আদায় করবে ,তখন সে পূর্ণ নামাজ পড়বে । আর যদি মুকিম মুসাফিরের পিছনে নামায আদায় করে ,তবে সুন্নত হলো মুসাফির কসর করবে আর মুকিম সালামের পরে তার নামাজ পূর্ণ করে নিবে ।
সুন্নত হলো মুসাফির যখন সে স্থানের মুকিমদেরকে নিয়ে নামায পড়াবেন তখন দুই রাকাত আদায় করে সালাম ফিরিয়ে বলবে আতিম্মু সলাতাকুম ফাইন্না কাওমু সাফার অর্থঃতোমরা তোমাদেরনামায পূর্ণ করে নেও আমরা মুসাফির জাতি ।
সফরে তাহাজ্জুদ ,বিতর ও ফজরের সুন্নত ছাড়া সুনানে রাওয়াতিবা তথা নামাযের আগে ও পরের নামাযগুলো ছেড়ে দেওয়ায় সুন্নত । আর সাধারণ নফল নামাযগুলো সফরে ও বাড়িতে আদায় করা জায়েজ । অনুরুপ কারনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নামায যেমন:ওযুর সুন্নত ,কাবা ঘরের তওয়াফ শেষে সুন্নত,তাহিয়্যাতুল মসজিদ ও চাশত ইত্যাদি নামায ।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পরের জিকিরগুলো নারী-পুরুষ ও সফরে ও বাড়িতে পড়া সুন্নত ।
কসরের ব্যাপারে লক্ষনীয় হচ্ছে স্থান সময় নয় । তাই যদি মুসাফির বাড়ির নামায ভুলে যায় এবং সফরে স্মরণ হয় তবে তা কসর করে আদায় করবে । আর যদি সফরের নামায বাড়িতে আসার পর স্মরণ হয় তবে পূর্ণ নামায আদায় করবে।
https://shorturl.fm/JtG9d
https://shorturl.fm/0EtO1