অজু আবশ্যক করে এমন অপবিএতা হতে মোজার উপর মোজা মাসেহ করা বৈধ যা আমলযোগ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত । অজু করার পর যদি মোজা পরিধান করে অতঃপর
যদি অজু চলে যায় মুকিম একদিন একরাত ও মুসাফির তিনদিন তিন রাত মোজা মাসেহ করতে পারে । এ সময়টা শুরু হবে অজু ছুটে যাওয়ার পর থেকে । হাতের আঙ্গুল দ্বারা উভয় মোজা উপরিভাগে রেখাকৃতি করে মাসেহ করবে । পায়ের আঙ্গুল থেকে শুরু করে পায়ের নলির দিকে টানতে হবে । এর ফরজ হলো হাতের তিন আঙ্গুল পরিমাণ।যে মোজা এত বেশি কাটা যে ,পায়ের তিন আঙ্গুল পরিমান বের হয়ে যায় তার উপর মাসেহ বৈধ নয় ।
যদি ছেড়া এর চেয়ে কম হয় তাহলে বৈধ।
যার উপর গোসল ফরজ হয় তার জন্য মোজা মাসেহ বৈধ নয় । যে সব কারনে অজু ভঙ্গ করে সে কারনগুলো মোজা মাসেহকেও ভঙ্গ করে । পা থেকে মোজা খোলার সাথে সাথে এবং সময়সীমা অতিক্রম করলে মাসেহ এর পরিসমাপ্তি ঘটে এবং মাসেহ বিনষ্ট হয়।যখন সময়সীমা অতিবাহিত হয় তখন মোজা খুলে পা ধুয়ে নিবে এবং নামায পড়বে । অজুর জন্য বাকি অঙ্গসমুহ ধৌত করতে হবে না ।কোন ব্যক্তি মুকিম অবস্থায় মাসেহ শুরু করে ,
অতঃপর সে একদিন এক রাত অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে সফর শুরু করলে তিন দিন তিন রাত মাসেহ করবে । আর যে ব্যক্তি মুসাফির অবস্থায় মাসেহ শুরু করে মুকিম হয়ে যায় ,সেক্ষে েএ সে একদিন একরাত বা ততোধিক দিন মাসেহ করে থাকলে তার জন্য মোজা খুলে ফেলা জরুরি । যদি এর চেয়ে কম হয় তাহলে একদিন একরাত মাসেহ পূর্ণ করবে । জুতার উপর বিশেষ মোজা পরলে তার উপর মাসেহ করবে ।চরকার সূতায় তৈরি অথবা পশমী মোজার উপর মাসেহ করবে । চরকার সুতায় তৈরী অথবা পশমী মোজার উপর মাসেহ বৈধ নয় , তবে চামড়া বা নিচে চামড়া লাগানো থাকলে বৈধ।
সাহেবাইন বলেন – মোটা এবং ছেড়া না হলে বৈধ । পাগড়ি,টুপি ,বোরখা এবং হাত মোজার
উপর মাসেহ করা বৈধ নয়।
ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করা বৈধ । পাগড়ি ,টুপি ,বোরখা এবং হাত মোজার উপর মাসেহ করা বৈধ নয় । ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করা বৈধ যদিও তা বিনা অজুতে বাঁধে । যদি ক্ষত না সারারপূর্বে ব্যান্ডেজ খুলে যায় তবুও মোজা মাসেহ বাতিল হবে না । যদি ক্ষত না সারার পূর্বে ব্যান্ডেজ খুলে যায় তবুও মাসেহ বাতিল হবে না । ক্ষত ভালো হওয়ার পরে পড়ে গেলে
মাসেহ বাতিল হবে ।