বায়তুল মালের পুর্নগঠন হযরত উমর (রা) এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব। হযরত উমর এর পূর্বে বায়তুল মালের অস্তিত্ব থাকলেও তখন তা নিয়মিত ও সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত ছিল না।তিনি হযরত ওয়ালিদ বিন হিশামের পরামর্শে একটি কেন্দ্রিয় কোষাগার প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরে প্রদেশগুলোতেও একটি করে কোষাগার প্রতিষ্ঠীত হয়। সাম্রাজের রাজস্ব সংগৃহিত হয়ে বায়তুল মালে জমা হত বায়তুল মাল ছিল জনসাধারণের সম্পওি এবং এতে খলিফার কোনোাধিকার ছিল না ।তিনি ছিলেন এর রক্ষক মাএ ।শাসন কাজের সাধারণ খরচ ও সামরিক খাতে ব্যয়ের পরে যে অর্থ উদ্ব ৃথাকত তা রাষ্ট্রের মুসলমানদের মধ্যে বাগ করে দেওয়া হতো।
দিওয়ান উল খারাজঃমহামতি খলিফা হযরত উমর (রা)রাজস্বের সুপরিকল্পিত পদ্ধতি প্রণয়ন এবং ব্রহওর জনসমষ্টির মঙ্গল সাধনের জন্য দিওয়ান উল -খারাজ নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন । এ রাজস্ব বিভাগই সংক্ষেপে উমরের দিওয়ান নামে পরিচিত ।হযরত মুহাম্মদ (স) ও খলিফা হযরত আবু বকর (রা) এর শাসনকাল পর্যন্ত অর্র্থ দপ্তরকে বায়তুল মাল বলা হয়। খলিফা উমর (রা) পারসিক কায়দায় এ দপ্তরের নাম রাখেন দিওয়ান ।দিওয়ানের প্রধান দায়িত্ব ছিল বায়তুল মালের জমাকৃত অর্থের সুষম বন্টন করা । প্রশাসনিক খরচ এবং যুদ্ধ অভিযানের খাতে ব্যয়ের পর যে উদ্বৃও অর্থ বায়তুলমালে থাকত তা মুসলমানদের মধ্যে বন্টণ করে দেওয়া হত। জাতীয় অর্থর সুষ্ঠ বন্টণের ক্ষে েএ পৃথিবীর ইতিহাস ইহাই সর্বপ্রথম লিপিবদ্ধ আদমশুমারি । এই গণনার মাধ্যমে রাষ্ট্রিয় ভাতা ভোগীদের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয় । ইসলামের সেবাই নিয়োজিত প্রত্যেকটি আরব ও মাওয়ালি মুসলমান পুরুষ ,শিশু ,যুবক,ও বৃদ্ধ সকলে এ তালিকার অন্তভূক্ত ছিল ।অক্ষম,পঙ্গু,দুর্বল ,রুগ্ন প্রভৃতি ব্যক্তিদের বিশেষ ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল।
বিশেষ বিশেষ ক্ষে েএ অমুসলমানগণও এ ভাতা থেকে বঞ্চিত হত না । ভাতার পরিমান তিনটি নীতি দ্বারা নির্ধারিত হতো । (১)মহানবি (স) এর বিধবা পত্নিগণ বার্ষীক ১০,০০০থেকে ১২০০০দিরহাম ভাতা পেতেন ।বদরের যুদ্ধের অংশগ্রহনকারী হিসেবে ৫০০০দিরহাম ,উহুদের যুদ্ধের প্রত্যেক ৪০০০দিরহাম ,মক্কা বিজয়ের পূর্ব যারা ইসলাম গ্রহন করেছিলেন তারা এবং রিদ্দা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারি যোদ্ধাদের প্রত্যেককে ২০০০ দিরহাম হিসেবে নিয়মিত বার্ষীক বৃওি দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মক্কার অধিবাসী ও অন্যান্য লোকজন সর্বনিম্ন ২০০ থেকে ৮০০ দিরহাম ভাতা পেতেন ।