জমাতে নামায আদায় ইসলামে অন্যতম মহান দৃশ্য যা ফেরেস্তাগণ সারিবদ্ধ হয়ে এবাদতের সাথে সাদৃশ্য রাখে ।এটা মানুষের পরষ্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব,পরিচয় লাভ ,সহনশীলতার একটি কারন এবং মুসলমানদের সম্মান ,শক্তি ও একতার একটি নিদর্শন। 🔷মুসলমানদের সবচেয়ে বড় জমায়েতঃ
আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদের জন্য বিভিন্ন নির্দিষ্ট সময়ে সম্মিলিত হওয়ার বিধান দান করেছেন ।সাপ্তাহিক জমায়েত জুমার জন্য সমবেত হওয়া। কিছু জমায়েত আবার বছরে দুইবার প্রতিটি দেশেই হয়ে থাকে যেমন ,দুই ঈদ। আর কিছু সম্মিলন আছে যা বছরে একবার সমগ্র বিশ্বের মুসলিমের জন্য ।যেমন আরাফার ময়দানে হাজিগণের বিশ্ব সম্মেলন। আবার কখনো কখনো সম্মিলিত হচ্ছে অবস্থার পরিবর্তনের সময় , যেমন বৃষ্টি প্রার্থনার ও চন্দ্র বা সূর্য গ্রহনের নামাজে সমবেত হওয়া।
🔷জামাতে নামায আদায়ের বিধান ঃ প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মুসলিম যার মসজিদে যাওয়ার শক্তি আছে তার জন্য মসজিদে জামাতে নামায আদায় করা ওয়াজিব।আর এই জামাতে নামায আদায়ের বিধান পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের জন্য ,তা সফর অবস্থায় হোক বা বাড়িতে থাকা অবস্থায় হোক ,নিরাপদ অবস্থায় হোক বা ভয়ের মধ্যে হোক।
🔷মসজিদে জামাতে নামায আদায়ের ফজিলতঃ ইবনে উমার থেকে বর্ণিত রাসুল (সাঃ) বলেন :একাকি নামাজের চেয়ে জামাতের নামাজের ফজিলত সাতাশ গুণ বেশি।’’ অন্য বর্ণানাতে পচিশ গুণ বেশি।’’ আবু হুরাইরা (রা) হতে বর্নিত ,তিনি বলেন রাসূল (স) বলেছেন যে ব্যক্তি আল্লাহের কোন ফরজ আদায়ের জন্য ঘরে ওযু করে আল্লাহর কোন ঘরের দিকে রওয়ানা হয়,তার প্রতিটি দুই ধাপের প্রথমটি দ্বারা একটি গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং অপরটির দ্বারা তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় ।
🔷কোথায় জামাতবদ্ধ সালাত আদায় করবেঃ নিজের আবাস স্থানের মহল্লার মসজিদে নামায আদায় করাই মুসলিমের জন্য উওম । এরপর যে মসজিদে বেশি বড় জামাত হয় সেখানে । এরপর যে মসজিদ বেশি দূরে সেখানে। এ ছাড়া মক্কা শরীফের মসজিদুল হারাম ,নবী (স)-এর মসজিদ মসজিদে নববীও মসজিদে আকসা (ফিলস্থিনের বাইতুল মাকদিস মসজিদ ) । এ তিনটি মসজিদে নামাজ আদায় করা সর্বাবস্থায় উওম ।