সূরা আশ শূরা

হাদিসে বরাত দিয়ে  উপরে বর্ণিত হয়েছে যে  ফেরেশতাদের বোঝার  চাপে  আকাশে  এমন আওয়াজ সৃষ্টি হয় .যেমন  কোন বস্তুর উপর ভারি বোঝা পতিত হলে সৃষ্টি হয়। এতে বোঝা গেল যে ,ফেরেশতাদের ওজন আছে এবং তা ভারি । এটা অবান্তরও না। কেননা এটা স্বীকৃত যে  ফেরেশতাগণও দেহবিশিষ্ট  যদিও তা খুব সুক্ষ । বহুসংখ্যক সুক্ষ্ম দেহও  এক িএত হলে ভারি হওয়া অসম্ভব নয়।                                      সকল জনপদ ও শহরের মূল  ওভিওি । এখানে মক্কা মোকাররমা বোঝানো হয়েছে ।  এই নামকরণের হেতু এই্ যে এ শহরটি সমগ্র বিশ্বের  শহর-জনপদ এমনকি ভূপৃষ্ট অপেক্ষা  আল্লাহ তায়ালার কাছে  অধিক সম্মানিত ও শ্রেষ্ঠ। মুসনাদে আহমেদের  রেওয়াতে  আদী ইবনে হামরা যুহরী বলেন  রাসুল (স) মক্কা থেকে  হিজরত করছিলেন  এবং হাযুরা নামক স্থানে ছিলেন  তখন আমি শুনেছি তিনি মক্কাকে  সম্বোধন করে বলেছিলেন

তুমি আমার কাছে আল্লাহ তাআলার সমগ্র পৃথিবি  থেকে শ্রেষ্ঠ এবং সমগ্র পৃথিবি অপেক্ষা অধিক প্রিয়। যদি আমাকে তোমার থেকে বহিষ্কার করা না হত তবে আমি কখনও  স্বেচ্ছায় তোমাকে ত্যাগ করতাম না ।                অর্থাৎ মক্কা মোকাররমার আশপাশ । এর অর্থ  আশেপাশের  আরব দেশসমুহ ও হতে পারে এবং পূর্ব পশ্চিম বিশ্বও হতে পারে।                 যে ব্যাপারে যে কাজে তোমাদের পারস্পরিক মতভেদ হয় ,তার ফায়সালা  আল্লাহর কাছেই সমর্পীত  রয়েছে ।                                                   কেননা আল্লাহর ফায়সালায় আসল ফায়সালা। অন্যান্য অধিকাংশ আয়াতে  রসুলের  এবং কোন কোন আয়াতে শাসকবর্গের আনুগত্যের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।  সেসব আয়াত এর পরিপন্থী নয় । কেননা রাসুল ও শাসকবর্গের ফায়সালা  একদিক দিয়ে আল্লাহ তায়ালার ফায়সালা হয়ে থাকে ।                                                                                                 তারা ওহির মাধ্যমে  অথবা কিতাব  ও সুন্নাহ অনুযায়ি ফায়সালা করলে তা আল্লাহর ফায়সালা  হওয়া সুষ্পষ্ট  ।আর যদি তারা  িইজতিহাদ দ্বারা  ফয়সালা করেন ,তবে ইজতিহাদের ভিওিও কোনআন ও সুন্নাহ হয়ে থাকে । তাই এ ফয়সালা ও প্রকারান্তরে আল্লাহ তাআলারই ফয়সালা । মুজতাহিদগণের  ইজতিহাদও এদিক দিয়ে খোদায়ী বিধানাবলির অর্ন্তভুক্ত । এ কারণেই আলেমগণ বলেন . কোরআন ও সুন্নাহ বোঝার  যোগ্যতা রাখে না . ।

এমন  সাধারণ ব্যক্তির পক্ষে মুফতির ফতোয়াই শরীয়তের বিধান।

Leave a Comment