সূরা নিসা শানে নুযুল

ইমাম নাসায়ি  এবং হাকিম (র) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে  আব্বাস (রা) এর  বর্ণনা সংকলন করেছেন যে হিজরতের পূর্বে রাসুল (স) এর মক্কায় থাকাবস্থায় আবদুর রহমান  ইবনে আওফ ,মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ ,সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস,কুদামা ইবনে মাযউন (রা) প্রমুখ সাহাবায়ে কেরাম  রাসুল (সা)  এর  নিকট এসে বললেন ,হে আল্লাহর  রাসুল (স) আমরা যখন মুশরিক ছিলাম , তখন সমাজে আমরা অনেক সম্মানের  সাথে জীবনযাপন করতাম ।অতঃপর যখন আমরা  ‍মুসলমান হলাম তখন শুরু হয়ে গেল বিভিন্ন প্রকার নির্যাতন । আমরা হয়ে গেলাম  সমাজে সবচেয়ে অবহেলিত ,অপমানিত । আমাদেরকে যুদ্ধের নির্দেশ দিন।আমরা মুশরিকদের শায়েস্তা করে দিই।                                           রাসুল (স) বললেন আমি এখনও যুদ্ধের নির্দেশপ্রাপ্ত হয়নি; বরং ধৈর্য্যধারনের  ব্যাপারে  আদিষ্ট হয়েছি। কাজেই তোমরা এখন  নামায কালাম পড়তে থাক ।হিযরতের পর  যখন  মুসলমানগণ মদিনায় আসলেন ,তখন যুদ্ধের নির্দেশ  অবতীর্ণ হয়।সে সময় দুর্বল ঈমানদারেরা কাপুরুষতা অবলম্বন  এবং যুদ্ধে লিপ্ত হতে অনীহা  প্রকাশ করলে  আল্লাহ তায়ালা  আলোচ্য  আয়াতে (সুরা নিসা৭৭-৮০) কারিমা  নাযিল  করেন ।

হযরত আবদুল্লাহ  ইবনে যায়েদ  (রা) হতে হাসান বসরি (র) বর্ণনা করেন ,মদিনার  ইহুদিরা বিপুল  ধনসম্পদের অধীকারি ছিল। রাসুল (স) যখন মদিনায় আগমন করেন  এবং তাদেরকে  ইসলামের দাওয়াত দেন  তখন তারা তা অস্বিকার করে ।ফলে তাদের ওপর  দুর্ভিক্ষ  ও আর্থিক অভাব অনটন  আপতিত হয় । তখন তারা বলতে থাকে , মুহাম্মদ (স)  এর  আগমনের  পূর্বে  তো আমাদের  ওপর কখনো দুর্ভিক্ষ ও আর্থিক  দুঃখ দুর্দশা আসেনি  । এখন  এসব কিছু ঐ লোকটির  মদিনায় আগমনের কারনেই দেখা দিয়েছে। ইহুদিদের  এ ধরনের  নিন্দনীয়  বক্তব্যের জবাবে  আল্লাহ তায়ালা  উল্লিখীত আয়াতে কারিমা অবতীর্ণ করেন।

Leave a Comment