সূরা ফজরের তাফসীর?

সূরা ফজরের আলোচনা

তিন বছর গোপনে ধর্মপ্রচার শেষে রাসুলে করিম (স) আল্লাহ কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে যখন প্রকাশ্যে  ইসলামের দাওয়াত দিতে আরম্ভ করেছেন ,তখনই মক্কার কাফির  ও মুশরিকরা নতুন ধর্মগ্রহনকারী  তথা রাসূল (সা) ও তার অনুসারীদের ওপর অত্যাচারের স্টীম রোলার চালাতে থাকে । তখন মহান আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে পূর্ববর্তী আদ,সামূদ, ‍ও ফেরাউনের কঠোর পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সতর্ক  করে দেন ।

এখানে বিশ্ব কোন্ট্রলার আল্লাহ তায়ালা  ইতিহাসখ্যাত  আদ ,সামূদ ও ফেরাউনের  মর্মান্তীক  পরিণতি ও সমাজের কিছু  ও নৈতিক  অবস্থার কথা  উপস্থাপন করেছেন ।

শপথ ফজরের!শপথ যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ রজনীর । একারনেই ফজর এর ব্যাখ্যা করা হয় আরাফার দিনের  ফজরের নামায দ্বারা । অথবা ,এর  দ্বারা বিশেষভাবে  ‍যিলহজ্জ মাসের ‍দুটি দিন তথা নবম ও দশম দিন  উদ্দেশ্য ।অথবা সৃষ্টিজগৎ উদ্দেশ্য। কারণ তিনি বিজোড় বা এক এবং শপথ রাতের যখন তা গত হতে থাকে । হে মক্কার কাফিররা অবশ্যই তোমাদেরকে আযাব দেয়া হবে । যা পরবর্তি বাক্য থেকে বুঝা যায় । আলোচ্য আয়াতে ব্যবহ্রত হিজর শব্দের অর্থ  হলো আকল ।কারন তা ব্যক্তিকে অনুপযুক্ত ‍ও অপ্রাসঙ্গিক কাজ থেকে বিরত রাখে ।

হে রাসূল !আপনার নিকট কি সংবাদ পৌছি নি ? আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গো েএর সাথে কি আচরণ করেছিলেন ?অর্থাৎ যাদের বংশ ছিলো এমন যে ,নূহ (আ)-এর  পুএ সাম ,তার পুএ ইরাম ,ইরামের পূএ আওস ,আওস এর পূএ আদ । আলোচ্য আয়াতে  আদ  উল্লেখের পর  ইরাম উল্লেখ করা  এর ভিওিতে  এবং ইরাম এর পূর্বে  একটি মুযাফ তথা সিবথ  উহ্য আছে । যার অর্থ দৈৗহিএ বা বংশধর । যাদের দৈহিক গঠন  স্তম্ভ ও খুটির ন্যায় দীর্ঘ ছিলো অথবা যাদের উচু অট্রালিকা দীর্ঘ স্তম্ভ ছিলো । আর যাদের সমান শক্তি ও বল বীর্যে সারা বিশ্বে কোনো লোক সৃষ্টি হয় নি।  আর আপনি কি আরো  লক্ষ্য করেননি  যে ,তিনি সামুদ গো েএর সাথে কি আচরণ করেছিলেন ?যারা ছিল এত শক্তিশালি যে ,বড় বড় উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল । আর বহু খুটির অধিপতি  ফেরাউনের সাথে চারটি খুটি ছিল যার সাথে হাত পা বেধে সে মানুষদেরকে পছন্দমত বেএাঘাত বা আগুনে পুড়িয়ে শাস্তি দিতো । যারা দেশে তথা মিশর ভূমিতে সীমালঙ্ঘন  করেছিলো ।           এটি পূর্বে উল্লেখিত  আদ,সামুদ ,তথা মিশরভূমিতে সীমালঙ্ঘন করেছিলো। যারা পূর্বে উল্লিখিত আদ ,সামুদ ও ফেরাউন সকলের জন্য সিফাত হয়েছে । অতঃপর কুফরি ও জুলুমের মাধ্যমে সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিলো। এরপর আপনার পালনকর্তা আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে শাস্তির কষাঘাত করলেন । অর্থাৎ বিভিন্ন প্রকার আজাব তাদের জন্য জমা করলেন ।কারো কারো মতে চাবুকের সাথে তুলনা করে দুনিয়াতে তাদেরকে যে আযাব দেয়া হয়েছে  তা বুঝানো উদ্দেশ্য এবং এর দ্বারা পরকালে তাদের জন্য যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে ।নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা তার বান্দাদের আমলের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখেন ।সুতরাং তিনি পরকালের জন্যেই প্রচেষ্টা কামনা করেন।

মানুষ এরুপ যে ,তার পালনকর্তা স্বচ্ছলতা ও দরিদ্রতা দ্বারা তাকে পরিক্ষা করেন ।অতঃপর যখন তাকে সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন,তখন সে বলে ,আমার প্রভু আমাকে সম্মান দান করেছেন । আর যখন তাকে পরিক্ষা করেন তখন তার রিযিক সংকুচিত করে দেন ,উভয় পক্ষের মাঝে তুলনা করার জন্য । তখন সে তার দৃষ্টির  সংকীর্ণতা ও চিন্তার অসারতার কারণে বলে  আমার প্রভু আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন ।অথচ দারিদ্রতা অনেক সময় সম্মান বয়ে আনে ।পক্ষান্তরে সম্পদের প্রাচুর্যতা  অনেক সময় পার্থিব ভালোবাসা এবং শএুর রোশানলে নিপতীত করে ।  এটা অমূলক ;

কেননা প্রাচুর্যতা অনুগ্রহ বটে ,তবে তা থেকে  বঞ্চিত হওয়ার অর্থ অপমানিত  হওয়া নয় ,বরং তাদের কথার চেয়ে ও তাদের কর্মকান্ড অনেক নিকৃষ্ট ,যা তাদের সম্পদ নষ্ট হওয়ার জন্য অধিক উপযুক্ত । আর তোমরা এতিমকে সম্মান করো না  এবং মিসকিনকে  অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত করো না এবং তোমরা মৃতের  ত্যাজ্য  সম্পওি  সম্পূর্নরুপে কুক্ষিগত করে ফেলো এবং তোমরা দন সম্পদকে প্রাণভরে ভালোবাসো ।

অর্থাৎ তারা বৈধ অবৈধ যথা নারী ও শিশুদেরকে অংশ না দিয়ে  এবং সূ  েএর উপার্জিত হালাল হারাম সব ধরনের সম্পদ জেনে শুনে জমা করে নিত ।

উপসংহার পরিশেষে এ সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারি ,গর্ব ,অহংকার,,হঠকারিতা ,দাম্ভিকতা মানুষকে পাপের পথে নিয়ে যায়  এবং তা মানুষকে ধ্বংস করে ফেলে ,যার বাস্তব প্রমাণ আয়াতে উল্লিখিত  সম্প্রদায়গুলো ।

বিশেষ দ্রষ্ট্রব্য ঃআপনারা যদি ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সীং শিখতে চান তাহলে যোগাযোগ করুন।  এখানে ফেসবুক মার্কেটিং,পিন্টারেষ্ট মার্কেটিং ,ডাটা এন্ট্রি ,লিড জেনারেশন,ইন্সট্রাগ্রাম মার্কেটিং, টুইটার মার্কেটিং ,কোরা মার্কেটিং ,কনটেন্ট মার্কেটিং,সহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আপনাকে সহযোগিতা করা হবে ।                  যোগাযোগ করুন

ডিজিটাল মার্কেটার ও এসইও এক্সপার্ট

 

Leave a Comment