সূরা মরিয়ম

আর পরবর্তি  বাক্যাংশ  এরুপ করা আমার পক্ষে  বড়ই সহজ  থেকেও  তাই বুঝা  যায় । অতএব  এ বাক্যের  অর্থ এ ছাড়া  আর কিছুৃই নয় যে আমরা এ পুএটির সওাকেই একটি মুজিজা  হিসেবে  বনী ইসরাঈলের সামনে  উপস্থাপিত করতে চাই । পরবর্তি বিবরণ  থেকে ষ্পষ্ট বুঝতে পারা যায়  যে হযরত ঈসা (আ) এর দেহ -সওা  ও জীবনটাই একটি মুজিজা হিসেবে  েপশ করা হয়েছে ।

দুরবর্তি স্থান বলতে বাইতুল লাহাম বুঝানো হয়েছে ।হযরত মরিয়মের  ইতিকাফ  থেকে বের হয়ে সেখানে চলে যাওয়া  ছিল একটি স্বাভাবিক ব্যাপার ।  বনি ইসরাঈলের  পবিএতম পরিবার  বনি হারুন গো  েএর কন্যা  এবং যিনি বায়তুল মাকদাসে  ইবাদাতের কাজে  একান্তভাবে নিয়োজিত  হয়ে বসেছিলেন – সহসা গর্ভবতি হয়ে পড়েন । এ অবস্থায় তিনি  ইতিকাফের স্থানে বসে থাকলে  এবং তার গর্ভের কথা  লোকেরা জানতে পারলে  কেবল পরিবারের লোকেরা নয় – অন্যান্য লোক ও তার জীবন অতিষ্ট করে তুলত ।  এ কারনে তিনি  এ কঠিন পরিক্ষার  সম্মুখিন হওয়ার পর চুপচাপ  ইতিকাফ ছেড়ে  দিয়ে  হুজরা থেকে বের হয়ে পড়লেন ,যেন যতদিনে আল্লাহর  মর্জি পূরণ না হয় । জনগনের অভিশাপ  ও ভৎসনা  েএবং সাধারণ বদনামি  থকে রক্ষা পেতে পারেন ।(হযরত ঈসা  (আ) এর জন্ম যে পিতা ছাড়াই হয়েছে  এ ঘটনাটি তার একটি বড় প্রমান । স্বামির ওরসে  যদি  তার সন্তান  জন্মলাভের  ব্যাপারেই হতো তা হলে  তো সন্তান প্রসবের  জন্য  তার স্বামিগৃহ বা পিতৃগৃহ  না গিয়ে  একাকি  একটি  দুরবর্তি  স্থানে  যাওয়ার কোন কারণেই  ছিল না ।)

এ সময় হযরত মারিয়াম  যে কঠিন  জটিলতার সম্মুখিন হয়েছিলেন  এ শব্দগুলো থেকৈ  তার সঠিক ধারণাই করা যায় ।  অবস্থার নাজুকতা  অনুধাবন করতে পারলে  সকলেই  বুঝবেন যে  তার মুখে এ শব্দগুলো  প্রসববেদনার কারনে উচ্চারিত হয়নি । বরং  একমাএ  এ চিন্তাই  তাকে বিবশ করে ফেলেছিল যে  আল্লাহ তাআলা তাকে যে মারাত্বক  অগ্নিপরিক্ষার নিমজ্জিত করেছেন তা থেকে তিনি কেমন করে সাফল্যের সাথে নিস্কৃতি  পেতে পারেন ।  এতদিন পর্যন্ত গর্ভকে তো কোনো না কোনো প্রকারে লুকিয়ে রেখেছিলেন : কিন্তু েএখন এ বাচ্চাকে কিভাবে কোথায় লুকিয়ে রাখবেন।

Leave a Comment