বুখারী শরীফে হযরত আনাস ( রা) থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ আছে। তিনি বলেন,হিজরতের ষষ্ঠ বর্ষে ওরায়না গোএের কতিপয় লোক রাসুল (স) এর দরবারে হাজির হয়ে ইসলাম গ্রহণের পর তারা নবি করিম (স)- এর দরবারেই বসবাস করতে থাকে। কিন্তু মদিনার আবহাওয়া তাদের স্বাস্থ্যর উপযোগী না হওয়ায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়ল। নবী করিম (সা) তাদের এ অসুস্থতার খবর শুনে তাদের আশু আরোগ্য লাভের জন্য তাদেরকে জাবালুল ইর নামক স্থানে পাঠালেন এবং সেখানে সদকার উটের দুগ্ধ ও পেশাব পান করতে নির্দেশ দিলেন।তারা নবি করিম (স) এর নির্দেশে উটের দুধ ও প্রসাব পান করে আরোগ্য লাভ করল।একদিন ভোর বেলায় তারা গোপনে পনেরোটি উট নিয়ে নিজ দেশের উদ্দেশ্য রওয়ানা করল।তা দেখে ইয়াসার নামক উক্ত উটের পাহাড়াদার কয়েকজন লোকসহ তাদের পিছু ধাওয়া করলেন। ঐ জালেমরা ইয়াসারকে ধরে তার হাত- পা কেটে ফেলল,এবং চক্ষু দুটি উপরে ফেলল এবং জিহবা কেটে ফেলল।এতে ইয়াসার শহিদ হলেন।নবি করিম (স) এ মর্মান্তিক ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়ে কুরয ইবনে জাবের (রা) এর নেতৃত্ব তাদেরকে পাকড়াও করার জন্য বিশজন সৈন্য প্রেরণ করেন।তারা তাদের সকলকে গ্রেফতার করে তাদের হাত গরদানের সাথে বেধে নবি করিম (স) এর দরবারে উপস্থিত করলেন। মহানবি (স) তাদেরকে কিভাবে শাস্তি দেবেন,সে বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা আয়াত অবতীর্ণ করেন।
মুহারাবা শব্দটি হারব ধাতু থেকে থেকে নির্গত।শব্দটি বাবে মাফআলাত এর মাসদার ।অর্থ হবে পরষ্পর ঝগড়াবিবাদ ও যুদ্ধবিগ্রহ করা । অর্থ হলো তারা শরিয়তের নির্দশের বিরোধিতা করে এবং হত্যা ও সম্পদ নষ্ট করাকে বৈধ মনে করে ।বস্তুত মাহারাবা দ্বারা কুফরি করা