- হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (স) ইরশাদ করেছেন,আমি আদিষ্ট হয়েছি,যেন সাতটি হাড়ের উপর সেজদা করি।কপাল,হস্তদ্বয়,হাটুদ্বয়, এবং পদযুগল। আর আমরা যেন নামাজ অবস্থায় কাপড় ও চুল না গুছাই।(বুখারি ও মুসলিম) ৷ ইমাম শাফেয়ী আহমদ ও যুফার (র)এর মতে সপ্ত অঙ্গের উপর সেজদা করা ওয়াজিব। দলিল তারা আলোচ্য হাদীসকে তাদের মতের পক্ষে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেন।
আবু হানিফা ও মালেকের অভিমত এবং শাফেয়ী ও আহমদের ওপর এক বর্ণনানুসারে সেজদাহর জন্য শুধু কপাল যমিনে রাখা ওয়াজিব । আর কমপক্ষে এক পা যমিনের উপর রাখা শর্ত । যদি কেউ সেজদাকালে তার উভয় পা যমিন হতে উঠিয়ে রাখে,তাহলে তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে । আর কোনো কারন ব্যতিত যদি এক পা উঠিয়ে রাখে তাহলে মাকরুহ হবে । তাদের মতে হস্তদয় ও হাটুদ্বয় সেজদার সময় যমিনে লাগিয়ে রাখা সুন্নত।
সেজদাহকালে ললাট ও নাক উভয়টি মাটিতে স্থাপন করা ওয়াজিব। নাকি যেকোনো একটির মাধ্যমেই নামায বিশুদ্ধ হবে , এ প্রসঙ্গে আলেমদের মাঝে মতানৈক্য বিদ্যমান ।যেমন –
ইমাম শাফেয়ী ,আহমদ এবং কতিপয় মালেকী মাযহাবের অনুসারীদের মতে সেজদার সময় ললাট ও নাক উভয়টি যমিনে স্থাপন করা ফরজ। কোনো একটি দ্বারা সেজদা করলে নামায শুদ্ধ হবে না ।
ইমাম আবু হানিফা,আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ (র) এর মতে যদি নাকে কোনো সমস্যা থাকে তাহলে ললাট দ্বারাই সেজদা যথেষ্ট হবে । আর কোনো কারন ব্যতিত শুধু নাকের উপর ভর করে সেজদা করা মাকরুহ হবে । এটা ইমাম আবু হানিফার প্রথম মত । কিন্তু ইমাম শাফেয়ী ও সাহেবানদের মতে এ অবস্থায় নামায শুদ্ধ হবে না ।
ইমাম আবু হানিফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ (র) এর মতে এবং শাফেয়ী ও আহমদের উপর অপর এক বর্ণনা মতে যদি নাকে কোন সমস্যা থাকে তাহলে শুধু ললাট দ্বারাই সেজদা যথেষ্ট হবে ।আর কোন কারন ব্যতিত শুধু কপালের উপর সেজদা করলে নামায মাকরুহ হবে । এটা ইমাম আবু হানিফার প্রথম মত । কিন্তু ইমাম শাফেয়ী ও সাহেবানদের মতে এ অবস্থায় নামায শুদ্ধ হবে না ।