নাম ও পরিচয়ঃতার নাম ওমর ,উপনাম আবু হাফস,গুণবাচক নাম ফারুক ,পিতার নাম খাওাব ,আর মাতার নাম হানতামা বিনতে হাশেম। তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট সাহাবি ও ইসলামের দ্বিতিয় খলিফা । জন্মঃ হযরত ওমর (রা) হিজরতের ৪০ বছর পূর্বে রাসূল (স)-এর জন্মের ১৩ বছর পর৫৮৩খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন । প্রাথমিক জীবনঃতার বাল্যজীবন সম্পর্ক যেমন জানা যায়নি ,যৌবনকালও প্রায় অনেকটা অঙ্গাত। তবে যৌবনের প্রারম্ভে তিনি যুদ্ধবিদ্যা,কুস্তি,বক্তৃতা এবং নসবনামা শিক্ষা ইত্যাদি আয়ও করেন। মোটকথা ,যুগ অনুপাতে তিনি একজন শিক্ষিত যুবক ছিলেন। ইসলামগ্রহণঃতিনি নবুওতের পঞ্চম সালে মতান্তরে ষষ্ঠ সালে ইসলাম গ্রহন করেন।ইসলাম গ্রহনকালে তার বয়স ছিল ছাব্বিশ বছর ।তার পূর্ব ৪০জন পুরুষ এবং ১১জন মহিলা ইসলামগ্রহন করেন । তার ইষলাম গ্রহনের পরই ইসলাম প্রকাশ্যতা লাভ করে এবং তিনি ফারুক উপাধিতে ভূষিত হন। খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহনঃহযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা) এর ইন্তেকালের পর তিনি হিজরি ১৩ সালের ২৩ জমাদিউস সানী খেলাফতের দায়িত্বভার গ্রহন করেন । আর হিজরি ২৩ সালের ২৭যিলহজ্জ তার খেলাফত সমাপ্ত হয়। তার খেলাফতের সময়সীমা হলো সর্বমোট ১০ বছর ৬ মাস । বর্ণীত হাদিসের সংখ্যাঃতিনি রাসূল (স) থেকে সর্বমোট ৫৩৯ টি হাদিস বর্ণনা করেছেন । রাষ্ট্রিয় কাজে ব্যস্ত থাকতেন বলে তার বর্ণীত হাদিসের সংখ্যা তুলনামুলক কম।
ইন্তেকাল ঃহিজরি ২৩ সালের ২৪ জিলহজ্জ বুধবার তিনি মসজিদে নববীতে এশার নামাযে ইমামতি করার জন্য দাড়ালে আবু লুলু নামক মুগীরা ইবনে শোবার অগ্নিপুজক ক্রিতদাস বিষাক্ত তরবারি দ্বারা তার মাথা ও নাভিতে মারাত্বকভাবে আঘাত করে । আহত অবস্থায় তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ২৭ যিলহজ্জ শনিবার তিনি শাহাদাতবরণ করেন । জানাযা ও দাফনঃহযরত সোহাইব (রা) তার জানাযায় ইমামতি করেন । হযরত আয়েশা (রা) এর অনুমতিক্রমে রওযায়ে নববীতে সিদ্দীকে আকবরের বাম পাশে তাকে দাফন করা হয় ।