হাসি

আল্লাহ তাআলা কাফিরদের উপহাসের হাসিকে নিন্দা করেছেন। কিন্তু মুমিনদের মুচকি হাসির কথা কুরআনে  বর্ণিত হয়েছে ।সাধারণ হাসি ,মুচকি হাসি ও অট্টহাসি নামে বিভিন্ন ধরনের হাসি থাকলেও বিশেষ করে হজরত নবি করিম (স) এর হাসির ধরন কেমন ছিল  তা হাদিস  শরিফে বর্ণিত হয়েছে । অট্টহাসি অমঙ্গলের কারণ ,কোন ভদ্রলোক এরুপভাবে হাসতে পারে না ।পক্ষান্তরে মুচকি হাসি  নবি -রাসুল ও বুজুর্গদের স্বভাব ,তথা সুন্নত।  হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন আমি হযরত নবি করিম (সা)কে কখনো  এমনভাবে অট্টহাসি অবস্থায় দেখিনি ,যাতে তার জিহ্বার মুল অংশ দেখা যায় ; বরং তিনি কেবল মুচকিহাসি হাসতেন । (ইমাম বুখারি)

হযরত জাবির ইবনে সুমুরাহ (র) হতে বর্ণিত হযরত রাসুল (সা) যে  স্থানে ফজরের নামায আদায় করতেন ,সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত সেস্থান হতে উঠতেন না ।অতঃপর যখন সূর্য উদিত হত তখন তিনি উঠতেন ।  এ সময় সাহাবিগণ  জাহেলি যুগের  কাজ -কর্মের  আলোচনা করে হাসতেন ,আর রাসুল (সা) মুচকি হাসতেন।

পরিভাষায় দাঁত বের করে হাসাকে দেহাক বলা হয়। এ হাসিতে গন্ডদেশ ও কপালে  কিছুটা ভাঁজ পড়ে। চোখের কোণ সংকুচিত হয় ।এটা মধ্যম ধরনের হাসি ।পক্ষান্তরে তাবাসসুম বলা হয় সামান্য হাসিকে যাতে কোন শব্দ নেই । মুখমন্ডল চেহারায় হাসির ভাব পুরোপুরি প্রস্ফুটিত হয় ।তবে দাঁত  দেখা যায় না ।

আওয়াজ করে হাসা কোনো ভদ্র লোকের উচিৎ নয় । এরুপ হাসি অমঙ্গলের লক্ষণ।পক্ষান্তরে মুচকি হাসি সুন্নত। হযরত রাসুল (সা)  এই ধরণের হাসি হাসতেন ।                                              হযরত জাবির (রা) হতে বর্ণিত যখন হতে আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি  তখন হতে হজরত নবি করিম আমাকে কখনো বাধা দেননি আর যখনই তিনি আমাকে দেখতেন তখন তিনি মুচকি হাসতেন । হযরত জাবির ইবনে সামুরাহ হতে বর্ণিত হযরত রাসুল (সা)  যে স্থানে ফজরের নামাজ আদায় করতেন ,সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত সে স্থান হতে উঠতেন না ।অতঃপর যখন সূর্য উদিত হত  তখন তিনি উঠতেন । এ সময় সাহাবিগণ জাহেলি যুগের কাজ -কর্মের  আলোচনা করে হাসতেন । আর রাসুলুল্লাহ (সা) মুচকি হাসতেন । (ইমাম মুসলিম রহ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন)  হযরত জাবির ইবনে সামুরাহ  হতে বর্ণিত হযরত রাসুল (সা) যে স্থানে  ফজরের নামায আদায় করতেন ,সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত সে স্থান হতে উঠতেন না। অতঃপর যখন  সূর্য উদিত হত ,তখন তিনি উঠতেন ।  এ সময় সাহাবিগণ জাহেলি যুগের কাজকর্মের আলোচনা করে হাসতেন ।  আর রাসুল (সা) মুচকি হাসতেন।

Leave a Comment