আতা খোরাশানি (রহ) বলেন ,কখনও কখনও ধনী ব্যক্তি তার গরিব আত্মিয় বা বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যেতেন । গরিব ব্যক্তি উক্ত ধনী বন্ধু বা আত্মিয়কে খানা খাওয়ার জন্য ডাকলে ধনী ব্যক্তি বলতেন ,আমি সম্পদশালী ব্যক্তি,আর তুমি অভাবি ও দরিদ্র ।তাই তোমার খাবার ভক্ষণ করা আমার জন্য ঠিক হবে না । এ প্রেক্ষাপটে আয়াতটি নাযিল হয় এবং গরিব ও দরিদ্র বন্ধুর বাড়িতে ধনী ব্যক্তির খাওয়াতে কোনো দোষ বা অসুবিধা নেই বলে ঘোষণা করা হয়।
শানে নুযুল -৬
কাতাদা ও দাহহাক (রহ) বলেন আয়াতটি আরবের বনু কেননার বনু লায়ছ ইবনে আমর নামের একটি গোএ সম্পর্কে নাযিল হয়েছে । এই গো েএর লোকজন একাকি খানা খেতেন না ,একাকি খানা খাওয়াকে তারা দোষনিয় মনে করতেন । এমনকি কখনও কখনও খাবারের দস্তরখানে সঙ্গির আশায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে থাকতেন । সন্ধ্যা অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন খাবার-সঙ্গি না পেলে তখন একাকি খেতেন।
এই প্রেক্ষাপটে আয়াতটি নাযিল হয় এবং একাকি ও সঙ্গিসহ খানা ভক্ষণ করা ,উভয় পদ্ধতি জায়েজ বলে আয়াতে ঘোষনা করা হয় ।
কালবি (রহ) বলেন ,লোকেরা যখন সম্মিলিতভাবে খানা খাওয়ার জন্য একএীত হতো তখন তাদের মধ্্য থেকে অন্ধ,অসুস্থ,এবং বিকলাঙ্গ ব্যক্তিকে আলাদা করে দিয়ে খাবার পরিবেশন করা হতো । আলোচ্য আয়াতটি নাযির করে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করলেন ,এটা আবশ্যক কোনো কাজ নয়। বরং তাদের সঙ্গে এক্এ এবং পৃথকভাবে উভয় পদ্ধতিতে খানা খাওয়ার অবকাশ আছে।