সূরা আরাফের আলোচনা

কুরআনে আল্লাহ পাক বলেন  আর আপনি তাদের শুনিয়ে দেন সে লোকের অবস্থা,যাকে আমি নিজের নিদর্শনসমুহ দান করেছিলাম। অথচ সে তা পরিহার করে বেরিয়ে গেছে। আর তার পেছনে লেগেছে শয়তান, ফলে সে পথভ্রষ্টদের অর্ন্তভূক্ত হয়ে পড়েছে। ইবনে আব্বাস (রা) বলেন,আয়াতটি বালআম ইবনে  আবরাহ নামক ব্যক্তি সম্পর্কে নাজিল হয়েছে।সে ছিল বনু ইসরাইলের একজন ব্যক্তি। আর ইবনে আব্বাস (রা.) ও অন্যান্য মুফাসসিরের মতে আয়াতটি বনু ইসরাইলের আলেম বালআম ইবনে বাউরা সম্পর্কে নাজিল হয়েছে ।

ওয়ালেবি (রহ) বলেন, আয়াতটি বালআম ইবনে বাউরা সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। সে ছিল একটি পাপি সম্প্রদায়ের বাসিন্দা । কিন্তু সে ইসমে আজম জানতো।মুসা (আ) ও তার বাহিনি ওই এলাকার ওপর আক্রমণ করতে চাইলে এলাকাবাসি এসে বালআমের নিকট আবেদন করলো , আপনি মুসা (আ) ও তার বাহিনির বিরুদ্ধে বদদুআ করুন , যাতে তিনি ধ্বংস হন।                                                                                             কিংবা আমাদের এলাকায় আক্রমণ করতে ব্যর্থ হন। জবাবে সে বলল – আমি যদি মুসা (আ)  এর বিরুদ্ধে দুআ করি যে তিনি ও তার বাহিনি ফিরে যান ,তবে আমার দুনিয়া ও আখেরাত উভয়টি ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্ত  ুস বারবার অস্বিকার করা সত্বেও লোকেরা পীড়াপীড়ি করতে লাগলো।        শেষ পর্যন্ত অপারগ হয়ে সে মুসা (আ)ও তার বাহিনির বিরুদ্ধে বদদুআ  করল।                                                                                             তার এই আচরণে অসন্তষ্ট হয়ে  আল্লাহ তায়ালা তার সবকিছু ধ্বংস করে দিলেন ।ইসমে আজমের ইলম ও অন্য ইলম উঠিয়ে দিলেন । ফলে সে হতভাগায় পরিণত হলো । জায়েদ ইবনে আসলাম (রা.) বলেন  আয়াতটি উমাইয়া ইবনে সালত আস সাকাফি সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। সে আসমানি কিতাব জানতো এবং এটাও জানতো যে আল্লাহ তায়ালা ঐ সময় একজন রাসুল প্রেরণ করবেন ।তাই সে আশায় ছিল সেই হবে সেই প্রতিশ্রুতি রাসূল। কিন্ত তার আশা ভঙ্গ করে আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ (স) কে রাসূল হিসেবে প্রেরণ করলে  সে তাকে হিংসা করতে লাগলো এবং তার নবুওয়াত অস্বীকার করলো ।তার এই অপকীর্তীর ব্যপারে আল্লাহ তায়ালা আয়াত নাযিল করেন ।                                                                                                    আরেক বর্ণনায় পাওয়া যায় ,সে একজন নবীর আশা ব্যক্ত করে  কোনো এক কাজে বাহরাইন চলে যায় ।সেখানে আটবছর অবস্থান করার পর মক্কায় ফিরে এসে দেখে ,রাসুল (স) তার সাহাবাগণকে নিয়ে বসে আছেন ।নবীজি তাকে দেখে ইসলাম গ্রহণের পরামর্শ দেন এবং তার সামনে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করেন ।  নবীজী তেলাওয়াত শেষ করলে সে সেখান থেকে পা হেচড়ে লাপ দিয়ে চলে যায় ।কুরাইশরা তাকে জিঙ্গেস করে হে উমাইয়া তুমি এ ব্যপারে কি বলো ?                                            সে বলল আমি স্বাক্ষী দিচ্ছি যে  তিনি সত্যবাদি । কুরাইশরা বলে তাহলে তুমি কি তার অনুসরণ করবে ? সে বলল শেষ পর্যন্ত তার বিষয়টি কোথায় গিয়ে দাড়ায় তা দেখে নিই ।এরপর সে শামে চলে যায়  এবং ইসলাম গ্রহণের অভিপ্রায়ে বদরের ঘটনার পর মক্কায় ফিরে আসে ।কিন্তু মক্কায় এসে বদরে  কুরাইশদের  শোচনীয় পরাজয়ের সংবাদ জানার পর  ইচ্ছা পরিবর্তন করে এবং ইসলাম গ্রহণ থেকে বিরত থাকে  এরপর তায়েফ চলে যায়                                                                                              এবং সেখানেই কুফর অবস্থায় মারা যায়।এই ব্যক্তি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা আয়াতটি নাযিল করেন। উমাইয়া একত্ববাদ সম্পর্ক অনেক কবিতা আবৃতি করেছিল । কিন্তু হিংসাবশতঃ ইসলাম গ্রহন করা থেকে বিরত থাকে ।                                                                                                                          একারনে রাসূৃল (সা) উমাইয়া সম্পর্ক বলেছিলেন তার কবিতা ঈমান এনেছে কিন্তু তার কলব কুফরি করেছে।

Leave a Comment