তাকওয়া শব্দের অর্থ কি

তাকওয়া অর্থাৎ গোনাহ  থেকে  বেচে থাকা এবং বিপদে সবর ও দৃঢ়তা অবলম্বন ,এ দুটি গুণ মানুষকে বিপদাপদ থেকে মুক্তি দেয় । কোরআন পাক অনেক জায়গায়  এ দুটি গুণের উপরই মানুষের সাফল্য ‍ও কামিয়াবি নির্ভরশীল বলে  উল্লেখ করেছে। তোমরা যদি সবর ও তাকওয়া  অবলম্বন কর ,                        তবে শএুদের  শএুতামূলক কলা-কৌশল তোমাদের বিন্দুমাএ  ক্ষতিসাধন করতে পারবে না । ইউসুফ (আঃ) দাবী করেছেন যে ,তিনি মুওাকি ও সবরকারী,তার  তাকওয়া ও সবরের কারনে বিপদাপদ দূর হয়েছে এবং  উচ্চ মর্যাদা অর্জিত হয়েছে ।      অথচ কোরআনে পাকে এরুপে  দাবি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে । নিজের পবিএতা বর্ণনা করো না ,                                        আল্লাহ তাআলাই জানেন  কে বেশি মুওাকি।কিন্ত এখানে প্রকৃতপক্ষে দাবী করা হয়নি ,বরং আল্লাহ তাআলার  অনুগ্রহরাজি বর্ণনা করা হয়েছে যে ,তিনি প্রথমে সবর ও তাকওয়া দান করেছেন ,অতঃপর এর মাধ্যমে সব নেয়ামত দিয়েছেন।       আজ তোমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। এটা চরি েএর উচ্চতম স্তর যে ,অত্যাচারীকে শুধু ক্ষমাই করেননি ,              বরং একথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে,  এখন তোমাদেরকে তিরস্কার করা হবে না ।        অর্থাৎ তোমরা সব ভাই আপন আপন পরিবারবর্গকে আমার কাছে মিসরে নিয়ে এস । পিতাকে আনাই উদ্দেশ্য ছিল।পিতার পরিবর্ত পরিবারবর্গকে আনার কথা  উল্লেখ করেছেন সম্ভবতঃএ কারনে যে পিতাকে এখানে অনার কথা বলা আদবের খেলাফ মনে করেছেন।                                   এছাড়া এ বিশ্বাস তো ছিলই যে ,যখন পিতার  দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসবে এবং এখানে আসতে কোন বাধা থাকবে না ,তখন পিতা  নিজেই  আগ্রহি হয়ে চলে আসবেন।কুরতুবি বর্ণিত এক রেওয়াতে আছে যে, ভাইদের মধ্যে ইয়াহুদ বলল ঃএই জামা আমি নিয়ে যাব। কারন তার জামাই অপ্রাকৃতিক রক্ত  লাগিয়েও আমিই নিয়ে গিয়েছিলোম । ফলে পিতা অনেক আঘাত পেয়েছিলেন।এখন এর ক্ষতিপূরণও আমার হাতেই হওয়া উচিত।                                 কাফেলা শহর থেকে বের হতেই কেনানে  ইয়াকুব (আঃ)-নিকটস্থ লোকদেরকে বললেন ঃতোমরা যদি আমাকে বোকা না ঠাওরাও ,তবে আমি বলছি যে ,আমি ইউসুফের গন্ধ পাচ্ছি।                                                                মিসর থেকে কেনান পর্যন্ত হযরত ইবনে আব্বাসের বর্ণনা অনুযায়ি আট দিনের দুরত্ব ছিল । হযরত হাসান বসরির বর্ণনা মতে আশি ফরশক অর্থাৎ প্রায় আড়াইশত’মাইলের ব্যবধান ছিল । আল্লাহ তায়ালা এর দূর থেকে  ইউসুফ (আঃ) এর জামার মাধ্যমে তার গন্ধ ইয়াকুব (আঃ) এর মস্তিস্কে পৌছে দেন।

এটা অত্যাশ্চর্য ব্যপার বটে।অথচ ইউসুফ যখন কেনানরই এক কুপের ভেতর তিন দিন পড়ে রইলেন ,তখন ইয়াকুব (আ) এই গন্ধ  অনুভব করেননি। এ থেকেই জানা যায় যে ,মুজেযা পয়গম্বরগনের  ইচ্ছাধিন ব্যাপার নয় এবং প্রকৃতপক্ষে মুজেযা পয়গম্বরগনের নিজস্ব কর্মকান্ডও নয় -সরাসরি আল্লাহ তায়ালার কর্ম।        আল্লাহ তাআলা যখন ইচ্ছা করেন মুজেযা প্রকাশ করেন।                             আলোচ্য আয়াত সমুহ থেকে  অনেক বিধান এবং মানবজিবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ জানা যায় ।

Leave a Comment