সূরা নাবা এর ফজিলত

কিয়ামতের ভীতিকর অবস্থাদীঃ কিয়ামত দিন হবে এক বিভীষিকাময় দিন ।  আসমান জমিনসহ  পাহাড়-পর্বত সবকিছু সেদিন ধুলায় পরিণত হবে । তুলাের ন্যায় বাতাসে উড়তে থাকবে । সেদিন জাহান্নামিদেরকে গরম পানি,কাটাযুক্ত গাছ আর দুর্গন্ধ পুঁজ ও ময়লা পানি খেতে দেয়া হবে । এভাবে দীর্ঘ সময়  অবস্থান করতে হবে । ।এরপর সিংগায় দ্বীতিয় ফুৎকার দেয়ার পর সকল মানুষ দৌড়ে আল্লাহর আদালতে হাজির হবে । তার বিপরিতে মুওাকিদের জন্য থাকবে সুন্দর বাগান ,আঙুর ফল,সমবয়স্কা  আনতানয়না নারী  এবং পূর্ণ পানপাএ ।

তারা তথায় অসার ও মিথ্যা বাক্য শুনবে না । এভাবে  আল্লাহ তায়ালা  ইনসাফ কায়েম করবেন ।  আল্লাহর আদালতে মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাড়াবে ।আল্লাহর অনুমতি ব্যতিত  কেউ কোনো  কথা বলতে পারবে না । সে দিন সবাই সত্য কথা বলবে ।দুনিয়ায় থেকে মানুষ যা যা করেছে সবকিছু সেদিন দেখতে পাবে ।এসব কিছু দেখে পাপী আর কাফেররা বলতে থাকবে ,হায় আফসোস আমি যদি  মাটি হয়ে যেতাম!

নবী রাসুলগণ সরাসরি আল্লাহ তায়ালার  কন্ট্রোলে থাকেন । তাদের সুক্ষাতিসুক্ষ সব ব্যাপার  আল্লাহ তায়ালা পরিশুদ্ধ করে দেন ।রাসুল (স) িএর জীবনে  এমনি একটি ঘটনা ঘটেছিল।

তিনি মক্কার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে দীনের দাওয়াত দিচ্ছিলেন। এ সময় উম্মে মাকতুম (রা) মাসয়ালা জানার জন্য রাসুল (সা) এর কাছে আসলে তিনি কিছুটা অসন্তুষ্ট হন। সাথে সাথে সূরা আবাসা অবতীর্ণ করে তাকে পরিশুদ্ধ করে দেন । নিচে আলোচনা করা হলো –

সূরা আবাশার প্রথম অংশটুকু রাসুল (স) এর ব্যবহারিক জিন্দেগিকে অধিক মহান ও উদার করার ,বিশেষত সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষের সাথে মুয়ামালাতের ব্যাপারে রাসুল (স) এর সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নাযিল হয়েছে ।ঘটনার বিবরণ নিম্নরুপ-                                                                               মাক্কি যুগের কোন এক সময় রাসুল (স) আবু জাহল, আব্বাস ,ওতবা ,ওয়ালিদ ,উমাইয়া ,রাবিয়া,উবাই,শাইবা প্রমুখ নেতৃস্থানীয় কুরাইশ নেতাদের সাথে ইসলাম সম্পর্কে  আলোচনা  করছিলেন  এবং  ইসলামের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছিলেন । রাসুল (সা) এর ধারণা ছিলো  এরুপ ,এমন শ্রেণীর লোকদেরকে দীনের মাহাত্ম্য  ‍বুঝিয়ে দিতে পারলে হয়তো দীনি দাওয়াতের কাজ সহজ হবে  ।       তাই তিনি বিশেষ আগ্রহ ও  মনোযোগ সহকারে তাদের নিকট ইসলামি আদর্শ ,কার্যবলি ও সদুপদেশ বর্ণনা করছিলেন ।                                 এ সময় আবদুল্লাহ ইবনে  উম্মে মাকতুম  নামীয় এক অন্ধ সাহাবি  রাসুল (সা) এর নিকট  উপস্থিত হয়ে পুনঃ পুনঃ আরজ করতে লাগলেন ,হে আল্লাহর রাসুল (স)  আপনি আমাকে সত্য দীন শিক্ষা দিন । ইবনে উম্মে মাকতুম (রা) এর বারংবার  আবেদনে রাসুল (স)  আলোচনা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিলো ।                 ফলে তিনি এত বিরক্তী বোধ করলেন ,এ বিরক্তির পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তার রাসুল (সা)কে নতুন পথ নির্দশনা সহ এ আয়াতগুলো নাযিল করেন ।               এ আয়াতগুলো নাযিলের পরবর্তি অবস্থার বিবরণ দিয়ে মুফাসসিরিনে কিরাম বলেন   এ আয়াতগুলো নাযিলের পর রাসুল (স) নিজের চাদর বিছিয়ে তাকে বসতে দেন  এবং তার মতামত জানতে চান ।                                       এরপর উক্ত সাহাবি রাসুলের নিকট  আগমন করলে তিনি তাকে স্বাগত জানিয়ে বলতেন, অর্থ্যৎ স্বাগতম ঐ ব্যক্তির জন্যে,যার কারণে  আমার প্রভু  আমাকে  ভৎসনা করেছিলেন । রাসুল (সা) মদিনার  বাইরে কোনো সফরে গেলে  ইবনে উম্মে মাকতুমকে মসজিদে নববির ইমাম নিয়োগ  করে যেতেন ।

আলোচ্য আয়াতসমুহেররাসুল (সা) কে ভৎসনার রহস্যঃ 

রাসুল(স) সমস্ত উম্মতের জন্যে রহমতস্বরুপ প্রেরিত হয়েছেন । সকলেই ইসলামের ছায়াতলে সমবেত হোক  এটাই ছিলো তার কামনা তাই তিনি কুরাইশ সর্দারদের সাথে আলাপ করছিলেন । এগুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় ইবনে উম্মে মাকতুম (রা) বাধা প্রদান করেছিলেন । তাই আল্লাহর পক্ষ হতে তিরস্কারের যোগ্য তিনিই ছিলেন ,কিন্ত উল্টো বিশ্বনবি (স)কে তিরস্কার করা হয়েছে। সুরা আবাশার সূচনালগ্নের  আয়াতগুলো দ্বারা আল্লাহ কর্তৃক তার রাসুল (সা)কে  ভৎসনার  হেকমত আবিষ্কার করতে গিয়ে  মফিসসিরগণ নিম্নের বক্তব্য  উপস্থাপন করেছেন।

ইবনে উম্মে মাকতুম যদি জানতেন, বিশ্বনবি বিশেষ  ব্যক্তিদের নিয়ে বিশেষ ব্যক্তিদের নিয়ে  বিশেষ  আলাপ করছেন,তবে তিনি এমন বিরক্তিকর  আবেদন করতেন না। তাই জানার পরও যদি তিনি এরুপ করতেন,তবে তাকে আল্লাহর পক্ষ হতে তিরস্কার করা হতো।

মানবজাতির সবাই সমান,ধনি- দরিদ্রের কারনে কারো মর্যাদার পার্থক্য  আাল্লাহর দৃষ্টিকোণ হয় না।ইবনে উম্মে মাকতুম সম্বলহীন ও অন্ধ হবার কারনে  রাসুল স ঃ তার প্রতি  খেয়াল না করাই  আল্লাহ তার রাসুলকে ভৎসনা করেছিলেন।

তিনি ছিলেন সহায় সম্বলহীন। এমতাবস্থায়  তিরস্কার  সহ্য করার মানসিকতা  হারিয়ে  ফেলবেন।আল্লাহ দূর্বল  সম্বলহীন মন ভাঙতে চান নি।

সম্মানের মূল ভিওি হলো তাকওয়া  এ হিসেবে ইবনে  উম্মে মাকতুম  কাফির কুরাইশ  নেতাদের চেয়ে  অনেক বেশি মর্যাদার  অধিকারি

Leave a Comment