হুনাইনের যুদ্ধ

ইসলামি আন্দোলনের  ইতিহাসে হুনাইনের যুদ্ধের গুরুত্ব অপরিসীম। ‘হুনাইন মক্কা ও তায়েফের মধ্যবর্তি একটি উপত্যকার নাম।এ যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের ঈমান ,ধৈর্য ও আত্ম জিঙ্গাসার পরিক্ষা।                                                    হুনাইন যুদ্ধের কারণসমুহঃ                                                           

কাবাঘর পুনরুদ্ধারের  ইচ্ছাঃ                                                              মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে কাবাঘর থেকে পৌওলিকতার  অবসান  ও একত্ববাদের  প্রতিষ্ঠা করা হলে মক্কা ও তায়েফের মধ্যবর্তি স্থানে বাসকারি পৌওলিক গোএসমুহ কাবাঘর পুনরুদ্ধারের জন্যে যুদ্ধ ঘোষণা করে ।     মক্কায় বাণিজ্যিক সুযোগ সুবিধা প্রতিষ্ঠাঃ                                 পৌওলিক  গোএসমুহের নেতৃবৃন্দ ভেবেছিল ,মক্কা থেকে  মুসলমানদেরকে নির্মুল করতে পারলে তারা সেখানে বাণিজ্যিক কর্তৃক প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে ।

ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয়ঃ                                                            বনু হাওয়াযিন ও বনু সাকিফ প্রভৃতি পৌওলিক গো েএর  ভয় ছিল,মুসলমানদেরকে সুযোগ দেয়া হলে  আরবদেশ থেকে আরবদেশ থেকে চিরতরে পৌওলিকতার অবসান হবে।সেজন্য তারা  আর কালবিলম্ব না করে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে।                                                                                      হুনাইনের যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার সময়কালঃ                                  হুনায়নের যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে ঐতিহাসীকদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। যেমন-আল্লামা শিবলি নোমানি(র) সফিউর রহমান মুবারকপুরি (র) সহ অধিকাংশ  আলেমের মতে হুনাইনের যুদ্ধ ৮ হিজরির ১০ শাওয়াল মোতাবেক৬৩০ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে সংঘটিত হয়েছে ।               (২)আল্লামা কুস্তলানি(র)এর মতেেএটি ৮ হিজরির ৬ই শাওয়াল সংঘটিত হয় । আল্লামা ওয়াকিদি(র) বলেন রাসুল (সা) শাওয়ালের ৬ তারিখে মক্কা থেকে বের হয়েছেন এবং ১০ তারিখে হুনাইন পৌছেছেন ।সেদিনই যুদ্ধ হয়েছে ।

ইবনে  ইসহাক (র) এর মতে ৮ হিজরির৮ শাওয়াল যুদ্ধ সংঘটিত হয়।     যুদ্ধের ঘটনাবলিঃ

হুনাইনের যুদ্ধে পৌওলিকদের সৈন্য সংখ্যা ছিল ২০,০০০ বনু কিলাব গোএ ব্যতিত হাওয়াযিন ও সাকিফ গো েএর সকল শাখা সম্প্রদায় এ যুদ্ধে যোগ দেয় ।মুসলমানদের সৈন্য সংখ্যা ছিল ১২০০০।  মুসলিমবাহিনি  কৈাশলগত কারনে হুনাইন উপত্যকায় পৌছলে শএুসেনারা দুপাশের পাহাড় থেকে তীর বর্ষন করতে থাকে ।শএুদের তীর বর্ষণের মুখে মুসলিম বাহিনিহে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় ।অনেকেই পিছু হটে ।রাসুল (স) ও একদল সাহাবি যুদ্ধক্ষেএ অটল রয়লেন  এবং যুদ্ধ করার জন্য মুসলমানদের  আহ্বান জানাতে থাকলেন । ভুল বুঝতে পেরে মুসলমানগণ  আবার এগিয়ে  আসেন । প্রচন্ড লড়াই হয়। মুহূর্তের মধ্যে যুদ্ধের মোড় ঘুরে যায় । শএুপক্ষ সম্পূর্ণরুপে  পরাভূত হয় । রাসূল (স)  এ যুদ্ধে যেভাবে  ছএভঙ্গ  সৈন্যর নেতৃত্ব দিয়ে সফল হয়েছিলেন, তা ইতিহাসে এক বিরল  ঘটনা-ই বটে ।

যুদ্ধের ফলাফলঃ 

অগণিত সম্পদ হস্তচ্যুতঃ

এ যুদ্ধে কাফিরদের দাস-দাসি ও নারী-পুরুষসহ প্রায় ছয় হাজার লোক মুসলমানদের  হাতে বন্দি হয় এবং ২৪ হাজার উট এবং ৪০ হাজার বকরি সহ বিপুল রণসম্ভার  গণিমত হিসেবে হস্তগত হয়।

কাফিরদের শোচনীয় পরাজয়ঃ

ঐতিহাসিক পি.কে. হিট্রি বলেন,এ যুদ্ধে কাফিরদের  শোচনীয় পরাজয় ঘটে।৭০ জন কাফির নিহত ,আর ৬০০ জন বন্দি হয় ।কাফিররা অনেকটা হতোদ্যম হয়ে পড়ে।

মুসলমানদের শাহাদাত ঃ

ঐতিহাসিক আমির আলি বলেন,হুনাইনে ৪ জন অথবা ৫ জন মুজাহিদ শাহাদাত বরণ করেন ।

অহংকারের পতনঃ                                                                                 এ যুদ্ধে কাফিরদের শেষ অহংকারটুকুও চূর্ণ হয়।কারণ ২০ হাজার  কাফির  তাদের সৈন্যসংখ্যার  প্রায়  অর্ধেক সংখ্যক মুসলমানের  কাছে এবারও পরাজয় বরণ করলো ।

Leave a Comment