আদি মানব হযরত আদম (আ) এর সৃষ্টির মধ্যে দিয়েই এ পৃথিবিতে মানবজীবনের শুভসূচনা ।আলোচ্য আয়াতগুলোতে আল্লাহ তায়ালা মানবসৃষ্টির আদি ইতিহাস,মানুষের পারষ্পরিক সম্পর্ক ও অধিকার সংরক্ষন এবং বিবাহের বিধান উল্লেখ করে আল্লাহভীতি অবলম্বনের নির্দেশ করেছেন । কুরআনে আল্লাহ পাক বলেন হে মানবজাতি ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর ,যিনি তোমাদেরকে একটি আত্বা হতে সৃষ্টি করেছেন । অতঃপর তিনি তার থেকে সৃষ্টি করেছেন তার সহধর্মিনী কে এবং তাদের উভয়জন থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু নরনারী । সুতরাং আল্লাহকে ভয় কর, যার নামে তোমরা পরস্পরের অধিকার দাবি করে থাক এবং ভয় কর এবং ভয় কর আত্বিয়তার সম্পর্ককে নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ওপর তোমাদের ওপর সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণকারী ।
হে অভিভাবকগণ এতিমদেরকে তাদের ধনসম্পওি দিয়ে দাও । আর ভালো মালের সাথে খারাপ মালের বদল করো না । নিশ্চয় এটা গুরুত্বর অপরাধ। এবং নিজেদের সম্পদের সাথে তাদের সম্পদ গ্রাস করো না । নিশ্চয় এটা গুরুত্বর অপরাধ।
আর যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে , এতিমদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না , তাহলে (তাদেরকে বিবাহ না করে ) অন্য নারীদের মধ্য হতে তোমাদের পছন্দমতো দু দুজন ,তিন তিনজন ,কিংবা চার চারজনকে বিবাহ কর । কিন্তু যদি এ আশঙ্কা কর যে তাদের মাঝে সুবিচার করতে পারবে না ,তবে একজন বউ ই গ্রহন কর। অথবা তোমাদের মালিকানাধীন দাসীদের ওপর সন্তুষ্ট থাক । এতে তোমাদের পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার সবচেয়ে কাছাকাছি সম্ভাবনা।
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত সাঈদ ইবনে যোবায়ের (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন গাতফান গো েএর জৈনেক ব্যক্তি তার এতিম ভাতিজার অঢেল সম্পদের অভিভাবক ছিল ।কিনতু ভাতিজা বড় হয়ে তার সম্পদ ফেরত চাইলে চাচা তা ফেরত দিতে অস্বিকার করে। পরিশেষে ঘটনাটা নবী করীম (স) এর নিকট পৈৗছলে আল্লাহ তায়ালা আয়াতটি অবতীর্ণ করেন ।
জাহেলী যুগে সমাজে এতিমদের কোনো অধিকার স্বীকৃত ছিল না । তাদের সামাজিক মর্যাদা স্বীকৃত ছিল না । তাদের ধনসম্পদ , ইজ্জত আব্রু রক্ষণাবেক্ষনের প্রতি কেউ গুরুত্ব দিত না । তাদের দায়িত্বভার গ্রহন করা হতো না । অভিভাবকগণ তাদের ধনসম্পদ আত্মসাৎ করত । যথাসময়ে তাদের ধনসম্পদ ফেরত দিতে চাইতো না । জোরপূর্বক তাদের ধনসম্পদ ভোগ ব্যবহার ও অপচয় করত । এতিমদের উৎকৃষ্ট মালের পরিবর্তে নিজেদের নিকৃষ্ট মাল ফেরত দিত । এতিমদের প্রতিপালন ও শিক্ষাদীক্ষার ব্যবস্থা ঠিকমতো করতো না