জুমার সালাতের গুরুত্ব

জুমার সালাত বিধিবিধান করার হেকমতঃ

মুসলমানদের মাঝে ভালবাসা ও মহব্বতের বন্ধনকে অটুট রাখার জন্য আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন ধরনের জমায়েতের ব্যবস্থা করেছেন।একটি মহল্লা বা গ্রামের জমায়েতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ।একটি  শহরের জমায়েতের জন্য জুমা ও ঈদের নামাজ।  আর বিশ্ববাসীর জমায়েতের জন্য মক্কায় হজ্জ। এগুলো মুসলমানদের ছোট,মধ্যম ও বড় জমায়েত তথা এক েএ মিলিত হওয়ার এক অনন্য মধ্যম ও উপায়।

🔅জুমার দিনের ফজিলতঃ                                                                                  আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত নবি বলেছেন :সুর্য উদিত হয়েছে এমন দিনের মধ্যে সর্বোওম দিন হলো জুমার দিন । এ দিনে  আদম কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিনে  তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা হয়েছে ও এ দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে ।  আর জুমার দিন ছাড়া অন্য কোন দিনে কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না ।

💥জুমার নামাজের হুকুমঃ                                                                         জুমার নামাজ দু’রাকাত । ইহা প্রতিটি মুসলিম,পুরুষ,বালেগ,বিবেকবান ,স্বাধীন,ঘর-বাড়ি বানিয়ে একটি জনপদে স্থায়ীভাবে বসবাস করে এমন ব্যক্তির উপর জুমার নামাজ ফরজ।জুমার নামাজ নারী, রোগী,শিশু,মুসাফির ও দাস-দাসীর উপর ফরজ নয়।এদের মধ্যে যারা জুমার নামাযে হাজির হবে তার নাময যথেষ্ট হয়ে যাবে । আর মুসাফির যদি কোন স্থানে অবতরণ করে আর  সেখানের  আজান  শুনতে পায় তবে তার জুমা আদায় করা জরুরি  হয়ে যাবে ।

 🔅জুমার নামাযের সময়ঃ

জুমার নামাজের উওম সময় হলো সূর্য ঢলার পর থেকে যোহরের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত।তবে সূর্য ঢলার পূর্বেও আদায় করা জায়েজ আছে ।                   

🔆জুমার আজানঃ                                                                                                                            উওম হলো জুমার নামাজের জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় আজানের মধ্যে এমন সময় থাকা যাতে করে একজন মুসলিম বিশেষ করে যারা দুরে ,ঘুমন্ত ও গাফেল  তারা নামাজের  জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ ও জুমার আদব এবং সুন্নতগুলো আদায় করে নামাজের জন্য যেতে পারে ।

 🔆জুমা কায়েম করার শর্তসমুহঃ                                                                           জুমার নামাজ তার সময়ের মধ্যে আদায় করা ওয়াজিব।আর জনপদের মধ্য হতে কমপক্ষে দুই বা তিন জন যেন উপস্থিত হয় । নামাজের পূর্বে  ‍দু’টি খুৎবা হতে হবে যাতে থাকবে আল্লাহর প্রশংসা ,তার জিকির ও শুকরিয়া। 

🔆জুমা কায়েম করার শর্তসমুহঃ                                                                                             জুমার নামাজ তার সময়ের মধ্যে আদায় করা ওয়াজিব । আর জনপদের মধ্যে হতে কমপক্ষে দুই বা তিন জন যেন উপস্থিত হয় । নামাজের পূ্র্বে দুটি খুৎবা হতে হবে যাতে থাকবে  আল্লাহর প্রশংসা ,তার জিকির ও শৃুকরিয়া। আরো থাকবে আল্লাহ ও তার রসুলের আনুগত্যের প্রতি উৎসাহ প্রদান ও আল্লাহর তাকওয়ার  অসিয়ত ।                                   🔆জুমার নামাজ যোহরের নামাজের জন্য যথেষ্ট। তাই জুমার পরে যোহরের নামাজ আদায় করা বিদা‘ আত । আর জুমার নামাজের হেফাজত করা ফরজ।যে ব্যক্তি অলসতা করে পরষ্পর তিনটি জুমা ত্যাগ করে  আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরে মোহর মেরে দেন।                                                                                                                                                জুমার নামাজের জন্য গোসল করা ও সকাল সকাল মসজিদে যাওয়ার ফজিলত ঃ আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত রসুলুল্লাহ বলেছেন : যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবতের গোসল করল । অতঃপর মসজিদে গেল সে যেন একটি উট কুরবানি করল। আর যে দ্বিতীয় মুহুর্তে গেল সে যেন একটি গরু কুরবানি করল। আর যে তৃতীয় মুহুর্তে গেলে  সে যেন একটি গরু কুরবানি করল। আর যে তৃতীয় মুহুর্তে গেলে সে যেন একটি শিংওয়ালা দুম্বা কুরবানি করল । আর যে চতুর্থ মুহুর্তে গেল সে যেন একটি মুরগি কুরবানি করল। আর যে পঞ্চম মুহুর্তে গেল সে যেন একটি ডিম কুরবানি করল। অতঃপর যখন ইমাম সাহেব বের হয়ে আসেন তখন ফেরেশতাগণ জিকির শুনতে থাকেন ।

২,আওস ইবনে আওস শাকাফী থেকে বর্ণিত তিনি বলেন ,আমি রসুলুল্লাহ কে বলতে শুনেছি :যে ব্যক্তি জুমার দিন তার বউকে গোসল করাল ও নিজে গোসল করল । অতঃপর অন্যকে জলদি করাল ও নিজেও সকাল সকাল পায়ে হেটে মসজিদে গেল এবং ইমামের নিকটে বসল  ও কোন অনর্থক কাজ না করে ইমামের খুৎবা শুনলো। তার প্রতিটি চলার পদের সওয়াব রোজা ও তাহাজ্জুদ সম্মিলিত এক বছরের সমান নেকি বরাবর হবে।                                                        🔆জুমার জন্য গোসলের সময়ঃ                                                                       জুমার নামাজের গোসল করা ও যাওয়ার মুস্তাহাব সময় শুরু হয় ফজর থেকে । আর এ সময় জুমা আদায়ের পূর্ব  পর্যন্ত চলতে থাকে এবং জুমার জন্যে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত গোসল দেরী করা উওম।                                                                                                                  🔆জুমার জন্য যাওয়ার উওম সময়ঃ                                                                        জুমার জন্য যাওয়ার উওম সময় আরম্ভ হয় সূর্য  উঠা হতেই।আর জুমার জন্য যাওয়ার ওয়াজিব সময় হলো ইমামের প্রবেশের পরে দ্বিতীয় আজানের সময়।      মুসলিম ব্যক্তি পাঁচটি মুহুর্তে জানার চেষ্টা করবে।সূর্য উঠা থেকে ইমাম বের হয়ে আসা পর্যন্ত সময়কে পাঁচ ভাগে ভাগ করবে যার দ্বারা সে প্রতিটি মুহুর্তে জানতে পারবে।                                                                                                                                                              🔅জুমার দিন সফর করার বিধানঃ                                                                                                   কোন প্রয়োজন ব্যতিত দ্বিতীয় আজানের পরে জুমার দিনে সফর করা জায়েজ নেই। প্রয়োজন যেমন:সঙ্গি বা পরিবহন গাড়ি বা পানি জাহাজ বা বিমান ছুটে যাওয়ার ভয়।                                                                                                                              আল্লাহর বাণি

হে ঈমানদারগণ!যখন জুমার দিনে নামাজের জন্য আহ্বান করা হয় তখন আল্লাহর  যিকিরের দিকে ছুটে আস । আর ব্যবসা -বাণিজ্য পরিহার কর । ইহাই তোমাদের জন্য উওম যদি তোমরা অবগত হতে।’’

🔅মাসবুক কখন জুমা পেয়েছে ধরা যাবে:                                                       যে ব্যক্তি ইমামের সাথে এক রাকাত জুমার নামাজ পাবে সে ‍দ্বিতীয় রাকাত পড়ে জুমার নামাজ পুরা করে নিবে। আর যে এক রাকাতের চেয়ে কম পাবে অর্থাৎ দ্বিতীয় রাকাতের রুকু পাবে না সে যোহরের নিয়ত করবে এবং চার রাকাত নামাজ আদায় করবে ।                                                                                               🔅ইমাম জুমার জন্য কখন আসবেনঃ                                                            মুক্তাদিদের জন্য সুন্নত হলো জুমা ,ঈদ ও বৃষ্টির নামাজের জন্য সকাল সকাল আসা ।আর ইমামের জন্য সুন্নত হলো জুমা ও বৃষ্টির নামাজের জন্য খুৎবার সময় আর ঈদের জন্য নামাজের সময় আসা ।                                                         🔅 খুৎবা কেমন হবেঃ                                                                                               সুন্নত হলো ইমাম সাহেব জুমার জন্য ছোট করে মুখস্ত খুৎবা দিবেন ।আর যদি কাগজে লেখে খুৎবা দেন তবে তা তার ডান হাতে ধরবেন । প্রয়োজন হলে ইমাম সাহেব লাঠি বা ধনুক কিংবা মেম্বারের দেওয়ালের  উপর বাম হাত দ্বারা ঠেস বা হেলান দিবেন ।

জুমার সালাতের গুরুত্ব
জুমার সালাতের গুরুত্ব
🔅সুন্নত হলো যিনি ভাল আরবি জানেন তিনি জুমার দুটি খুৎবা  আরবিতে প্রদান করবেন । আর যদি উপস্থিত জনগন আরবি না বুঝে ,তবে তাদের ভাষা দ্বারা অনুবাদ করাই উওম ।তাও যদি সম্ভব না হয়,তবে তাদের ভাষায় খুৎবা  প্রদান করবেন । কিন্ত নামাজ আরবি ছাড়া অন্য কোন ভাষায় সঠিক হবে না ।
  🔅মুসাফিরের প্রতি জুমা কি ওয়াজিব?                                                                                     যদি কোন মুসাফির এমন শহর হয়ে অতিক্রম করে যেখানে জুমা অনুষ্ঠিত হয় ও  সে আজানও শুনে এবং সেখানে  বিশ্রাম নেওয়ার ইচ্ছা করে ,তবে তার প্রতি জুমার নামাজ আদায় করা জরুরি হয়ে পড়বে। আর যদি তাদের নিয়ে খুৎবা দেয় ও জুমার নামাজ আদায় করে তবে সকলের নামাজও সহিহ হবে ।                                                                      🔅খতিবের গুণাবলি:                                                                                                                 জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন ,রাসুলুল্লাহ যখন খুৎবা প্রদান করতেন তখন তার চক্ষু দু‘টি লাল হয়ে যেত. আওয়াজ উচু হত ও তার রাগ বেড়ে যেত। এমনকি যেন তিনি কোন সেনাদল থেকে ভয় প্রদর্শনকারী। তিনি বলতেন:তোমাদের সকাল ও তোমাদের বিকাল (এটা ভয় প্রদর্শনের কমান্ড)।                                                                        🔅ইমাম প্রবেশ করে কি করবেন:                                                                                                                     তিনটি স্তর বিশিষ্ট মেম্বারে দাড়িয়ে ইমামের খুৎবা দেওয়া সুন্নত। ইমাম মসজিদে প্রবেশ করেই মেম্বারে উঠবেন এবং মুসল্লিদের সামনে করে সালাম দিবেন । এরপর মুয়াজ্জিনের আজান শেষ হওয়া পর্যন্ত বসে থাকবেন । অত:পর দাড়িয়ে প্রথম খুৎবা প্রদান করবেন । এরপর বসবেন অতঃপর দাড়িয়ে দ্বিতিয় খুৎবা  প্রদান করবেন । আর কোন প্রয়োজনে খুৎবা বন্ধ করে আবার জারি রাখা জায়েজ আছে ।                                                   🔅খুৎবার বিষয়:                                                                                                                                                              নবী (সাঃ) ও তার সাহাবাগণের খুৎবাগুলোর বিষয় বস্তু ছিল তাওহীদ,ঈমান,আল্লাহর গুণাবলীর বর্ণনা ,ঈমানের মূল ,আল্লাহর নিয়ামতরাজীর  উল্লেখ যার দ্বারা তার সৃষ্টির কাছে প্রিয় হওয়া যায়,ঐ সকল দিনের উল্লেখ যার দ্বারা তাকে ভয় পায়,আল্লাহর জিকির ও শুকরিয়ার নির্দেশ ,দুনিয়াদারির প্রতি ঘৃণা সৃষ্টিকরণ ,মৃত্যুর স্মরণ,জান্নাত ও জাহান্নামের বয়ান ,আল্লাহ ও তার রসুলের আনুগত্যের প্রতি উৎসাহ প্রদান ও পাপ কার্যাদি থেকে বারণ ইত্যাদি ।                                 ইমাম তার খুৎবাতে আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ব,তার নাম ও গুণাবলী এবং নিয়ামতসমুহের উল্লেখ করবেন ।আল্লাহর আনুগত্য ,শুকরিয়া, স্মরন ও যার দ্বারা মানুষ আল্লাহর  প্রিয় হতে পারে তার নির্দেশ দেবেন।এর ফলে তারা ফিরে আসবে আল্লাহর পথে এবং আল্লাহ তাদেরকে  ভালবাসবেন ও তারাও আল্লাহকে  ভালবাসবে । আর তাদের অন্তর ঈমান ও ভয় দ্বারা ভরে যাবে এবং তাদের দিল ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আল্লাহর জিকির ,আনুগত্য ও এবাদত করার জন্য অগ্রসর হবে ।
  🔅খুৎবা ও সালাতের পরিমাণঃ                                                                                                  ইমামের জন্য সুন্নত হলো সুন্নত মোতাবেক খুৎবাকে ছোট করা ও নামাজকে দীর্ঘ করা । জাবের ইবনে সামুরা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন , আমি রসুলুল্লাহ এর সাথে জুমার নামাজ আদায় করেছি। তার নামাজ ছিল মধ্যপন্থার ও তার খুৎবাও ছিল মধ্যপন্থার ।                   খতিবের জন্য মুস্তাহাব হলো তার খুৎবাই তিনি কুরআন থেকে পাঠ করবেন । আর কখনো কখনো খুৎবা দিবেন সূরা ক্ব-ফ দ্বারা ।                                                                        🔅খুৎবার জন্য বসার পদ্ধতিঃ

ইমাম যখন খুৎবার জন্য বসবেন তখন মুক্তাদিগণের জন্য মুস্তাহাব হলো তারাও ইমামকে সামনে করে বসা।কারণ ইহা অন্তরের উপস্থিতি ও খতীবকে প্রেরণা এবং ঘুম থেকে দূরে থাকার জন্য উপযুক্ত।           🔅জুমার নামাজের পদ্ধতিঃ                                                                                                       জুমার নামাজ দুই রাকাত ।সুন্নত হলো প্র্রথম রাকাতে স্বশব্দে সূরা ফাতিহা পাঠের পর সূরা জুমুআ ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা মুনাফিকুন পাঠ করা ।অথবা প্রথম রাকাতে সূরা জুম‘আ ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা জুমআ ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা গাশিয়াহ । অথবা প্রথম রাকাতে সূরা আলা ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা  গাশিয়াহ । অথবা প্রথম রাকাতে সূরা আলা ও ‍দ্বিতীয় রাকাতে গাশিয়াহ  ।যদি অন্য কোন সূরা পাঠ করে  তবুও জায়েজ । দুই রাকাত আদায় শেষে সালাম ফিরাবে।                                                                    জুমার নামায সুন্নত নামাযসমুহঃ                                                                                                       সুন্নত হচ্ছে জুমার ফরজ নামাযের পর বাড়িতে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়া। আর কখনো দুই সালামে চার  রাকাত পড়া ।যদি মসজিদে পড়ে তবে দুই সালামে চার রাকাত আদায় করা । আর জুমার ফরজের পূর্বে নির্দীষ্ট কোন সুন্নত নেয় বরং যত রাকাত চাইবে  তাই পড়বে ।                                              🔅খুৎবা চলাকালিন কথা বলার বিধানঃ                                                                                                    খুৎবারত অবস্থায় কথা বললে সওয়াব বিনষ্ট হবে ও পাপ সংযুক্ত হবে। সুতরাং ইমামের খুৎবা দেওয়া কালিন কোন প্রকার কথা বলা চলবে না ।কিন্তু ইমাম ওপ্রয়োজনে যিনি তার সঙ্গে কথা বলবেন  সে ব্যতিত।সালাম ও হাঁচির উওর দেওয়া যাবে। উপকারার্থে খুৎবার পূর্বে ও পরে কথা বলা জায়েজ । জুমার দিন  ইমামের খুৎবারত অবস্থায় মানুষের কাঁধ পাড়া দিয়ে চলা হারাম।অনুরুপ ইমামের খুৎবা কালিন ইহতিবা তথা  পা ও পিঠ কাপড় বা হাত দ্বারা বেধে ঠেস দিয়ে বসা মাকরুহ।                                                                                                                        🕳শহরে জুমার নামাজ কায়েম করার বিধানঃ   শহরে বা গ্রামে শর্ত পূরণ হলে জুমা কায়েম করা যাবে তাতে দেশের রাষ্ট্র প্রধানের  অনুমতির প্রয়োজন নেয়।আর একই শহরে একাধিক জুমা প্রয়োজন  নেয়। আর একই শহরে একাধিক জুমা প্রয়োজন ছাড়া কায়েম করা জায়েজ নেয়। প্রয়োজন হলে রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি ক্রমে জায়েজ আছে । জুমার নামাজ শহরে ও গ্রামে কায়েম করা যাবে কিন্তু বেদুঈন এলাকা ও মরুভুমিতে চলবে না ।                         ✅ইমামের খুৎবারত অবস্থায় কেউ প্রবেশ করলে কি করবেঃ                   জুমার দিন ইমামের খুৎবারত অবস্থায় যে মসজিদে প্রবেশ করবে সে হালকা করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে বসবে । আর যে মসজিদে বসা অবস্থায় তন্দ্রাচ্ছন্ন হবে তার জন্য সুন্নত হলো স্থান পরিবর্তন করা ।                                                       ✅জুমার দিন গোসলের বিধানঃ                                                                        জুমার দিন গোসল করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা । আর যার শরীরে দুর্গন্ধ যা  দ্বারা ফেরেশতা  ও মানুষ কষ্ট পায় তার প্রতি গোসল করা ওয়াজিব ।মহানবি (সা)বলেছেন:জুমার দিন প্রতিটি সাবালক মানুষের প্রতি গোসল করা ওয়াজিব।    জুমার দিনের গোসলের পর সুন্নত হলো পরিষ্কার হওয়া ও সুগন্ধি ব্যবহার করা ।আর সবচেয়ে সুন্দর পোশাক পরিধান করা ।সকাল সকাল মসজিদের দিকে যাওয়া।ইমামের পার্শ্বে বসা।আর যা চাইবে  নামাজ পড়া এবং বেশি বেশি দোয়া,দরুদ ও কুরআন তেলাওয়াত করা।                             🔅ইমাম সাহেব খুৎবা ও নামাজে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে ওজরের জন্য একজন খুৎবা দেওয়া ও অপরজন নামাজ পড়ানো জায়েজ আছে।                                                                                                    জুমার দিন যা পড়া সুন্নতঃ                                                                                                                     জুমার দিনের রা িএতে বা দিনে সূরা কাহাফ পাঠ করা সুন্নত।আর যে সূরা কাহাফ জুমার দিনে তেলাওয়াত করবে তার জন্য দু্ই জুমার মাঝের সময়টা আলো দ্বারা আলোকিত করে দেওয়া হবে।                                                                                                        ✔জুমার দিন  ফজরের সালাতে যা পড়া সুন্নতঃ                                            জুমার দিনের ফজরের ফরজ নামাজে ইমাম সাহেবের জন্য প্রথম রাকাতে সুরা সাজদা ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা দাহার -ইনসান পড়া সুন্নত।

খুৎবা চলাকালিন দোয়া করার বিধানঃ                                                            খুৎবা চলাকালিন ইমাম ও মুক্তাদির জন্য দোয়ার সময় হাত উওোলন করা জায়েজ নেয় ।তবে ইমাম যদি বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন তবে তিনি হাত উঠাবেন ও মুক্তাদিগণও তাদের হাত উওোলন করবেন। আর দোয়াতে নিচু শব্দে আমীন বলা বৈধ আছে।                                                                                                            💚মুস্তাহাব হলো ইমাম সাহেব তার খুৎবাতে দোয়া করবেন। আর উওম হলো তিনি  ইসলাম ও মুসলমান ও তাদের হেফাজত এবং সাহায্য ও আপোষের অন্তরের মাঝে ভালবাসা ইত্যাদির জন্য দোয়া করবেন। ইমাম সাহেব দোয়ার সময় তার হাত না উঠিয়ে আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করবেন।                                           💚দোয়া কবুলের উওম সময়ঃ জুমার দিন আসরের  পরে দিনের শেষভাগে দোয়া কবুলের আশা করা যায়। এ সময় বেশি বেশি দোয়া ও জিকির করা মুস্তাহাব। এ সময় দোয়া কবুল হওয়ার বড় উপযুক্ত সময়। এ মুহুর্তটি খুবই অল্প মাএ ।                                                                                                                              আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রসুলুল্লাহ জুমার দিনের কথা উল্লেখ করে বলেন :জুমার দিনে এমন একটি মুহুর্তে রয়েছে যে সময় কোন মুসলিম বান্দা দাঁড়িয়ে নামাজরত অবস্থায় আল্লাহর নিকট যা চাইবে আল্লাহ তাকে তাই দিবেন।তিনি সে সময়ের সল্পতার প্রতি হাত দ্বারা ইঙ্গিত করেন।                               আবু হুরাইরা  থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,রসুলুল্লাহ জুমার দিনের কথা উল্লেখ করে বলেন: জুমার দিনে এমন একটি মুহুর্ত রয়েছে  যে সময় কোন মুসলিম বান্দা দাড়িয়ে নামাজরত অবস্থায় আল্লাহর নিকট যা চাইবে আল্লাহ তাকে তাই দিবেন। তিনি সে সময়ের সল্পতার প্রতি হাত দ্বারা ইঙ্গিত করেন।

🔺জুমার সালাত ত্যাগ করার বিধানঃ                                                                   যার জুমার নামাজ ছুটে যাবে সে যোহর  চার রাকাত আদায় করে নিবে। যদি তার কোন ওজর থাকে তবে গুনাহগার হবে না । আর যদি কোন ওজর না থাকে তবে গুনাহগার হবে;কারণ সে জুমার নামাজের ব্যাপারে  অবহেলা করেছে ।      আবুল জা আদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রসুলুল্লাহ বলেছেন যে ব্যক্তি অলসতা করে তিনটি জুমা ত্যাগ করবে আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দিবেন।                🔺ঈদের দিন জুমা হলে তার বিধানঃ                                                                যদি ঈদের নামাজ জুমার দিনে হয় তবে যারা ঈদের নামাজে হাজির হবে তাদের উপর জুমার নামাজে হাজির হওয়া রহিত হয়ে যাবে । তারা যোহরের চার রাকাত আদায় করবে । কিন্তু ইমামের উপর থেকে রহিত হবে না । অনুরুপ যারা ঈদের নামাজে হাজির হয়নি তারাও ।আর যারা ঈদের নামাজ আদায় করেছে  তারা যদি জুমার নামাজ আদায় করে তবে যথেষ্ট হয়ে যাবে ,তাদেরকে যোহর পড়তে হবে না ।

Leave a Comment